পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wo উপনিষদের উপদেশ । অভয়াপদ লাভ করেন। তত্ত্বজ্ঞগণের এই অভয়প্ৰাপ্তির দ্বারা, এই অভয়-প্ৰাপ্তির কারণরূপে, ব্ৰহ্মেরও অস্তিত্ব বুঝিতে পারা যায়। অবিদ্যা দ্বারা, ভেদ-বুদ্ধি দ্বারা, ৰস্তুগুলিকে আত্মসত্তা হইতে স্বতন্ত্র বলিয়া মনে হয় । কিন্তু অবিদ্যার নাশ হইলে, ভেদ-বুদ্ধি চলিয়া গেলে, সর্বত্র এক অদ্বিতীয় সত্তাই জাগরন্ধক হইয়া উঠে। যাহাঁদের চিত্তে বিন্দুমাত্রও ভেদ-বৃদ্ধি থাকে, তাহাদেরই ভয়-শোকাদির नष्ठावना ! 'श्राभि उश-नड) श्ड्ङ् श्डल, बश श्राभा श्tठ স্বতন্ত্র, বস্তুসকল আত্ম-সত্তা হইতে স্বতন্ত্র,”-এই প্ৰকার বোধই ভয়ের হেতু । কিন্তু যিনি সর্বত্র একমাত্র সত্তার অনুভব করিতে পারেন, সর্বত্র একমাত্র সত্তা দেখিতে পান, পদার্থ-মধ্যগত সত্তা ও আত্ম-মধ্যগত সত্তায় যিনি কোন ভেদ দেখিতে পান না, তাহার ভয়াদি হইতে পারে না। সমগ্র জগৎ সেই ব্ৰহ্ম-সত্তারই ভয়ে কম্পিত হইয়া স্ব স্ব কাৰ্য্য নির্বাহ করিতেছে। সুতরাং এতদ্বারা ব্ৰহ্মসত্তার অস্তিত্বও বুঝা যায় { এ সম্বন্ধেও একটা প্ৰাচীন গাথা প্ৰচলিত আছে সেটা এই— “ইহঁরই ভয়ে বায়ু প্ৰবাহিত হইতেছে। ইহঁরই শাসনভয়ে সূৰ্য্য উদিত হইয়া প্রতিদিন স্ব-কাৰ্য্য-নিৰ্বাহ করিয়া থাকেন। অগ্নি ও ইন্দ্ৰ ইহঁরই ভয়ে পৃথিবীর বিবিধ কাৰ্য সম্পাদন করিতেছেন। এই চারিটীি পদাৰ্থ ব্যতীত, মৃত্যুনামক পদার্থও, ইহঁরই ভয়ে যথাকালে প্ৰাণীবৰ্গকে স্বস্থানে লইয়া