পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম-নিরূপণ ও ব্ৰহ্ম-প্ৰাপ্তি । Sqdt Wo, al r. . অবস্থিত আছে। ইহা প্ৰাণ, অপান, সমান, উদান, ব্যান, এই পােচ, প্রকারে বিভক্ত হইয়া দেহের সর্বপ্রকার ক্রিয়া নির্বাহের মূল রূপে অবস্থান করিতেছে। নানা প্রকার। কাৰ্য্য-ভেদে, একই শক্তির বিবিধ নাম। দৈহিক সমুদয় চেষ্টার মূলে এই প্রাণশক্তি অবস্থিত : এই প্ৰাণশক্তি না থাকিলে, একদিকে যেমন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস লওয়া যাইত না, তদ্রুপ আবার কথন, গ্ৰহণ, আদান, ত্যাগ, বিসর্জন প্ৰভৃতি দৈহিক কোন ক্রিয়া সম্পাদিত হইত না । এই প্ৰাণশক্তিই ইন্দ্ৰিয়ের গোলক গুলি ( অন্নাংশ দ্বার। ) নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়া, সেই সকল গোলকের আশ্ৰয়ে, ভিন্ন ভিন্ন ইন্দ্ৰিয়ের দর্শন, শ্রবণাদি ব্যাপার নির্বাহ করিতেছে। যাবতীয় ঐন্দ্ৰিয়িক ক্রিয় এবং রস-রুধিরাদির চালনাত্মক ক্রিয়ার মূলে প্রাণশক্তির অস্তিত্ব আছে। সুৰপ্তিকালে এই প্ৰাণশক্তিতেই সকল ঐন্দ্ৰিয়িক ক্রিয়া বিলীন হইয়া যায় ; পুনরায় জাগরিতকালে সেই প্ৰাণশক্তি হইতেই ঐন্দ্ৰিয়িক ক্রিয়া গুলি বিভক্ত হইয়া পড়ে। এই সকল কথা বুঝাইবার অভিপ্ৰায়ে কোন কোন উপনিষদে প্রাণ ও অন্যান্য ইন্দ্ৰিয়ের বিবাদের আখ্যায়িকা দৃষ্ট হয় । চক্ষুঃ কর্ণাদি ইন্দ্ৰিয় না থাকিলেও দেহ রক্ষা হইতে পারে ; কিন্তু প্ৰাণশক্তির অভাবে দেহ রক্ষিত হইতে পারে না,-সেই আখ্যায়িকায় এই তত্ত্ব ও প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। ঐন্দ্ৰিয়িক ও দৈহিক যাবতীয় ক্রিয়ার মূল কারণ এবং আশ্ৰয়-এই প্ৰাণ-শক্তি । আমাদের ইন্দ্ৰিয়বর্গের সম্মুখে কোন বিষয় উপস্থিত হইলে, এক একটা ইন্দ্ৰিয় দ্বারা যে সকল শব্দ-স্পর্শ রূপ-রসাদি বিজ্ঞান লব্ধ হইয়া থাকে ; সে গুলিকে ইন্দ্ৰিয়বৰ্গ অসঙ্কীর্ণ ভাবে মনের নিকট অৰ্পণ করে। যুগপদুপস্থিত, অসঙ্কীর্ণ এই রাশি রাশি অনুভূতিগুলির (Sensations).