পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম-নিরূপণ ও ব্ৰহ্ম-প্ৰাপ্তি । NR6tn9 তাহা প্ৰাণশক্তি হইতেই উৎপন্ন, উহা প্ৰাণশক্তিরই পরিণতি। DD DDD DDBB DBBDSaLLBBDB BBDB DBDSS aBKS শক্তি যতই তেজ, আলোকাদির আকারে ক্ষয়িত বা বিকীর্ণ হইতে থাকে,-ততই উহার আধার ও (অন্নাংশ) ঘনীভূত হয়। এই ঘনীভবন হইতেই ‘জল’ উৎপন্ন হয় এবং এই জল-তেজঃশক্তি দ্বারা পরিপক্ক হইতে হইতে কঠিন ‘পৃথিবী" রূপে পরিণত হয়। সুতরাং প্রাণশক্তির ক্রিয়া হইতেই স্থূলতৃত উৎপন্ন হইয়া থাকে * । সমষ্টিভাবে এই প্ৰাণশক্তিকে “হিরণ্যগৰ্ভ” নামে নির্দেশ করা হয়। কেন না, ইহাই যাবতীয় বিজ্ঞানের মূলবীজ। প্রাণীরাজ্যে মন ও বুদ্ধি-এই প্ৰাণশক্তি হইতেই বিকাশিত হইয়াছে ৭ । শক্তির ক্রিয়া হইতে হইলেই,

  • “কারণং ক্রিয়াশক্তি-লক্ষ্যং হিরণ্যগৰ্ভং-সংকল্পাধ্যবসায়শক্তিবিশিষ্টতয়া চ মনোবিজ্ঞান-শব্দলক্ষ্যং ব্ৰহ্মেতি ব্যজিানাৎ”- টীকাকার জ্ঞানামৃত ।

+ কেন না, প্ৰাণশক্তিই চক্ষুরাদি গোলকে ইন্দ্ৰিয়াদি শক্তিরূপে বিকাশিত হইলে, তবে তদ্বারা বিবিধ বিজ্ঞানের বিকাশ হয়। ‘বৃঢ়েযুতু করণেষু বিজ্ঞানময় উপলভ্যতে “ইত্যাদি ।-বৃহদারণ্যকে শঙ্করাচাৰ্য্য। বাহিরে যাহা তেজ-আলোকাদিরূপে ব্যক্তি, তাহাই প্ৰাণীদেহে ইন্দ্ৰিয়রূপে বিকাশিত হয় । “সৰ্ব্ব-বিষয়বিশেষাণামেব স্বাত্মবিশেষ-প্রকাশকত্বেন সংস্থানান্তরাণি কারণানি”।-বৃহদারণ্যকে, শঙ্কর-ভাষ্য, ২,৪১১।" ব্যষ্টিভাবে, প্ৰাণশক্তিই দেহে প্ৰথম অভিব্যক্ত হয় এবং রসরুধিরাদির