পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩। উড়িষ্যার বর্তমান মহাকবি ও নানা শাস্ত্রীয় গ্রন্থের অম্বুবাদক, বুদ্ধপণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত ফকীর মোহন সেনাপতি মহোদয়ঃ “গ্ৰন্থকার মহাশয় এই মূলাবান গ্ৰন্থ আমাকে উপহার দিলেন, প্রত্যুপকার করিবার আমার কিছুমাত্র শক্তি নাই । * ** পুস্তক। প্ৰাপ্তিমাত্ৰ পাঠ আরম্ভ করিলাম, চিরদিন পড়িব ; আমার মৃত্যুশয্যা পৰ্য্যন্ত সঙ্গে থাকিবে। আমি ইহাকে পবিত্ৰ ধৰ্ম্ম গ্ৰন্থ বলিয়া জ্ঞান করি । আমি উৎকলের প্রসিদ্ধ সাময়িক পত্রিকায় আলোচনা করিব, যথাসাধ্য ইহার মহিমা বিস্তারের জন্য চেষ্টা করিব।”-ইত্যাদি । , ১৪। “একিলিপিবিস্তার-পরিষদের” মুখপত্র দেবনাগর, দ্বিতীয় "مصير बव, यश २-२० । “গ্ৰন্থকারের পাণ্ডিত্য এবং গবেষণা-কৌশল, আর গ্রন্থের উপযোগিতা সম্বন্ধে আমরা পূৰ্ব্বেই (গন্তবর্ষে )। বলিয়াছি। শ্ৰীমৎশঙ্করাচাৰ্য্যের বেদান্ত-মাতানুসারে, উপনিষৎ-সমূহকে সৰ্ব্বসাধারণের বোধগম্য করি বাবুর উদ্দেশ্যেই এই গ্রন্থের প্রণয়ণ | প্রথম খণ্ডে ছান্দোগ্য এবং বৃহদারণ্যকোপনিষদ ব্যাখ্যাত হইয়াছিল। এখন দ্বিতীয় খণ্ডে, কঠ ও মুণ্ডক-এই উপনিষদ-দ্বয় ব্যাখ্যাত হইয়াছে। প্রথম খণ্ডের মত, এই খণ্ডও স্কুল-কায় – ৩৬৪ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত। আরম্ভে, ১৮৩ পৃষ্ঠ-ব্যাপী একটি বৃহৎ অবতরণিকা দেওয়া হইয়াছে। দুরূহ উপনিষদ্ভাবকে সৰ্ব্বসাধারণেরবোধগম্য করিপার উদযোগে, বাস্তবিকই গ্ৰন্থকার মহাশয় সফলীভুত । যাহারা পাশ্চাত্ত্য দার্শনিক-ভাবে বিভোর, তাহাদিগকে শঙ্করভাষোয় দুরূহ তাৎপৰ্য্য বুঝাইবার জন্য, এ গ্রন্থ একমাত্র উপায় বলিলে অভুক্তি । হইবেনা। শঙ্কর-ভাষ্যকে অন্যথাভাবে বুঝিয়া যে বেদান্তীগণ অনেক দুর্ভাবনার সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহার নিরাকরণ বিশেষরূপে অবতরণিকায়