পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠোপনিষৎ రిస* কুং কুৎসিতভাব মারয়তি, নাশয়তি য: স কুমার, যিনি রাজস তামস ভাব সমূহ নষ্ট করেন, তিনি কুমার। মানুষ ভগবমুখী হইলে তাহার চিত্ত রাজস্তামসভাব পরিত্যাগ করিয়া শুদ্ধসত্ত্ব হইতে থাকে। সেই সময় তাহার চিত্তে এইরূপ ভাবের উদয় হয় যে আমি এতকাল ধরিয়া কামনাবশে যে সমুদয় কাৰ্য্য করিয়া আসিতেছি তাহ বৃথাই ইয়াছে, ঋত্বিকগণকে জরাজীর্ণ গাভীসমূহ দান করিলে সেই দানকারী যেমন নিরানন্দময় লোকে গমন করে সেইরূপ এতদিন ধরিয়া আমি কামনাপূর্বক যে সব কাৰ্য্য করিয়া আসিয়াছি সেই সব কর্ম আমাকে কখনই নিত্য আনন্দ প্রদান করিতে সমর্থ হইবে না । মনে মনে বারংবার এইরূপ আলোচনা করিবার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে আমাকে এখন মরিতে হইবে । অমৃতত্ব লাভ করিতে হইলে, স্বীয় স্বরূপ সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বরের সাক্ষাৎকার করিতে হইলে জীবিত অৱস্থাতেই আমাকে মৃত্যুকে বরণ করিয়া লইতে হইবে, ভোগময় জীবন সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করিয়া নুতন ভাগবত জীবনে জন্মলাভ করিতে হবে। মানুষ যখন এইরূপে দৃঢ় সংকল্প হইয়া সাধন পথে অগ্রসর হয় তখন তাহার পূৰ্ব্বের ভোগময় জীবনের সংস্কারসমূহ তাহাকে পুনরায় ভোগের দিকে আকর্ষণ করিতে থাকে। তখন সে ভাবে আমি সমাজে বহুলোকের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া আছি, শীর্ষস্থান না হইলেও মধ্যম স্থান ত অধিকার করিয়া আছি, আমি সমাজে কখনও হীন নগন্য ব্যক্তি নহি, সুতরাং আমি যে এই সাংসারিক সুখ যশ মান পরিত্যাগ করিয়া মৃত্যুকে বরণ করিয়া লইতেছি, ইহাতে আমার কোন প্রয়োজন সিদ্ধ হইবে ? যদি পরমেশ্বরের সাক্ষাৎকার করিতে না পারি, আত্মতত্ত্ব জানিতে না পারি, তাহা হইলে আমি ইতোনঃ: ততোত্রঃ: হইব, বৰ্ত্তমান সাংসারিক স্থৰ হারাইব অথচ আত্মদর্শন হইবে না। কিন্তু বিবেক বৈরাগ্যবান ময়ূন্যের মনে এইরূপ সংশয় উদিত হইলেও উহা সাময়িক, ঐন্ধপ সংশয় কখনই স্থায়ী হয় না, ভগবান নিজেই সাধকম্বদয়ে নিৰ্ম্মল