পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> S o কঠোপনিষৎ বুদ্ধি প্রকাশ করিয়া সাধককে আত্মতত্ত্ব লাভে দৃঢ় সংকল্প করির তোলেন । সাধক তখন নিজের ভোগাসক্ত মনকে সম্বোধন করিয়া বলিতে থাকে—মন তুমি পশ্চাতে ফিরিয়া দেখ কত শত শত মুনি ঋষি, কত রাজা, কত দরিদ্র ব্যক্তি এই পথ অবলম্বন করিয়া জীবনে কৃতকৃত্য হইয়াছিল, বৰ্ত্তমানেও কতলোক সাংসারিক সুখে বিমুখ হইয়া এই পথে অগ্রসর হইয়া জীবন সফল করিয়া তুলিতেছেন। সুতরাং এক আমিই এই পথের পথিক নহি, আমি যদি ভোগাসক্ত হইয়া পুনরায় সংসার করিতে থাকি তাহা হইলে কীট পতঙ্গের মত শস্যের মত জীবিত থাকিয়া পরে জরাজীর্ণ হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইব এবং স্বীয় কর্মফল ভোগের জন্য পুনরায় শরীর গ্রহণ করিব মাত্র। সাধক যখন মনে মনে এইরূপ বিচার করিয়া স্বীয় স্বরূপ সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বরের সাক্ষাৎকার লাভ করিবার জন্ত দৃঢ় সংকল্প হইয় উঠেন, তখন তাহার চিত্তে এক বিরাট ভাবের উন্মেষ হইতে থাকে, তিনি তখন বৈশ্বানর হন। মু কোপনিষদে আত্মোপলব্ধির সাধনস্তর উপদিষ্ট হইয়াছে । তথায় বৈশ্বনির বা বিরাটগদ লাভই সাধনার প্রথমন্তর বলিয়া নির্দিষ্ট ইয়াছে" প্ৰভু বৈশ্বানর প্রথম পাদঃ” । আনন্দগিরি এই মন্ত্রের ব্যাখ্যায় বলিয়াছেন “ব্রহ্মনি প্রকুতে তস্য পরোক্ষত্ত্বে শঙ্কিতে তল্লিরাসার্থ ‘ব্রহ্ম অয়ং আত্মা’ ইতি প্রত্যগাত্মা নম্ প্রকৃত্য সোহরমাত্মা চতুষ্পাৎ ইতি ঘৎ উক্তং তং অযুক্তং শ্রব্রুম BBBBS BBSBBBBBBBS BBSBBB KYBBBB BBS আধাত্মিকত আধিদৈবিকেন সতিস্য প্রপঞ্চস্য সৰ্ব্বস্য এবস্থলস্য পঞ্চারুত পদ্মগর্ভূত তৎকার্য্যাত্মনো হিরণ্যগৰ্ভ স্বন। দ্বিতীয় পাদস্তম্। তস্যৈব কাৰ্য্যরূপতাং তত্তাকারপরূপতাং আপনঁস্য অব্যাক্তাত্মন! তৃতীয় পাদস্তম্। তস্যৈব তু কাৰ্য্যকারণরূপতাং বিহায় সৰ্ব্বকল্পনাধিষ্ঠানতয়া স্থিতস্য সত্যজ্ঞানানন্তানদাত্মন চতুর্থ পাদতুম্।।” আত্মোপলব্ধির চারিটি স্তর আছে। প্রথমস্তর বিরাট। এই বিরাট বা বৈশ্বানর হইতেছেন পৰ্কীকৃত পঞ্চমহাভূত