পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠোপনিষৎ >> পূর্ণ সমুদ্রমধ্যস্থিত কলসীর যেমন অন্তর বাহির জলপূর্ণ থাকে এবং কলসীর পার্শ্বগুলি দিয়া কেবল শীতলতাই অনুভূত হয়, সেইরূপ সাধক ঈশ্বর পদ লাভ করিলে চৈতন্তময় “অহং দ্বারা কেবল সালোচ্য, সাযুজ্য, সারূপা, সাষ্টি প্রভৃতি আনন্দের বিভিন্ন বিকাশ সমূহ উপলব্ধি করিতে থাকেন। পরাশক্তি যখন ঈশ্বরের সহিত সম্পূর্ণরূপে মিলিত হন তখন র্তাহাকে শিবও বলা যাইতে পারে, শক্তিও বলা যাইতে পারে। কিন্তু এই অভেদ অবস্থাতেও আনন্দ বিলাসের সম্ভাবনা থাকা হেতু ঐন্ধপ অদ্বৈত-ভাব স্পন্দন-যুক্ত। ঐ অবস্থায় সেই জন্ত “অহং চিন্ময় হইলেও দ্বৈতভাব, ভেদভাব সম্পূর্ণরূপে বিলয় প্রাপ্ত হয় না। সেই জন্য সাধকের মনে প্রশ্ন জাগে এই “অহং যদি বিলুপ্ত হইয়া যায়, তাহা হইলে কিছু থাকে কিনা । সেই জন্য ঋষি বলিতেছেন— * * যেয়ং প্লেতে বিচিকৎসা মনুষ্যে অস্তীত্যেকে নায়মন্তীতি চৈকে। এতদ বিদ্যমানু শিষ্টস্তুয়াহম, বরাণামেষঃ বরস্তুতীয়ঃ ৷ ‘প্রেতে, প্রকৃষ্টরূপে,সম্পূর্ণরূপে যখন “অহং চলিয়া যায়, মকুপ্তে’ আমি মনুষ্য, আমি ঋষি, মুনি, দেবতা, ভগবানের দাস, সথা, ইত্যাদি খণ্ডভাব পরিচ্ছিন্ন বুদ্ধি যখন সম্পূর্ণরূপে বিলয়প্রাপ্ত হয়, তখন কেহ বলে ‘অন্তি’ ‘অংভাব চলিয়া গেলেও কিছু একটা সম্বস্তু থাকে, সেই সদ্বস্তু চৈতন্যস্বরূপ, আনন্দ স্বরূপ এবং সমস্ত নিষেধের অবধি আবার কেহ কেহ বলিয়া থাকেন “অহং ভাব বিলয়প্রাপ্ত হইলে কিছুই থাকে না, দীপনির্বাণের মত সব শূন্ত হইয়া যায়। ইহার প্রকৃত তত্ত্ব কি তাহাই আমি জানিতে ইচ্ছা করি। আমার প্রকৃত স্বরূপ কি, আত্মা বা “আমি’র প্রকৃত তত্ত্ব কি তাহাই আমার জিজ্ঞাস্য ; ইহাই আমার তৃতীয় বর। কিন্তু কেহ কেহ এই মন্ত্রের