পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلها লিপ্ত বা বদ্ধ হন না। এই সাধক যদি একশত বৎসর কর্ম করিয়া জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছাও করেন তাহা হইলেও তিনি কর্ম দ্বারা লিপ্ত বা বদ্ধ হইবেন না। কারণ র্তাহার পরিচ্ছিন্ন দেহদ্বয়ে আত্মাভিমান নাই। দেহেন্দ্রিয়াদিতে অভিমানী বিজ্ঞানাত্মারই কর্তৃত্বাদি অভিমান হওয়ায় বন্ধন হইয়া থাকে, ঈশ্বরে অনন্তচিত্ত ব্যক্তির নহে। সন্ন্যাসীর পক্ষেও কর্ম বন্ধনের কারণ হয় না। স্বস্বরূপ সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মেই “অহং ব্রহ্মাস্মি” এই মনোবৃত্তি দ্বারা অহং ভাবাপন্ন হইয়া স্বীয় ব্রহ্মস্বরূপে সব দা অবস্থান করেন তাহারও বুদ্ধি এবং অহংকারের সহিত অভিমান না হওয়ায় কৰ্ত্তত্ববুদ্ধি ও ভোক্তৃত্ববুদ্ধি না থাকায় তৎকৃত কর্ম বন্ধনের কারণ হয় না। আর জিজীবিম্বেং এই পদদ্বারা ঈশ্বরাপণবুদ্ধির এবং অন্তর বাহির সতত স্বীয় স্বরূপ আখগুৈকরস নিবিশেষ সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মদর্শনের স্তুতি করা হইয়াছে। ব্রহ্মায়ৈকাজ্ঞানের কিংবা ঈশ্বরে শরণাগতির এতই মহিম। যে প্রকৃত ব্ৰহ্মজ্ঞানী অথবা ঈশ্বরে নিবেদিতাত্মা প্রকৃত ভগবদ্ভক্ত দ্বারা কৃত কর্ম বন্ধের কারণ হয় না । ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ বলিতেছেন— * “যস্ত নাহংকৃতে ভাবে বুদ্ধির্যস্ত ন লিপ্যতে। হত্বাপি স ইমাল্লেীকান্ন হস্তি ন নিবধ্যতে ॥” এই শ্লোকে যেমন ব্রহ্মজ্ঞানের আশ্চৰ্য্য মহিমা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে সেইরূপ ঈশোপনিষৎদের প্রথম ও দ্বিতীয় মন্ত্রে ব্রহ্মজ্ঞান ও ঈশ্বরে শরণাগতি স্তুত হইয়াছে। অতএব উক্ত মন্ত্রই একই