এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
இ. কঠোপনিষৎ 8చి
- শি স্বরূপ এবং মে অজ্ঞ পুরুষ “আমি ও আমার” এই অভিমানে অভিভূত হইয়া অবিদ্যাতে জাগিয়া থাকেন সেই অবিদ্যা, আত্মরতি, আত্মক্রীড়া তত্ত্বদর্শী মুনির পক্ষে নিশা । জাগ্ৰং, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি প্রাণিগণের এই তিন অবস্থা অজ্ঞান বা অবিদ্যার কার্য্য । অজ্ঞান বা অবিদ্যার এই তিন অবস্থা স্বীয় স্বরূপ পরমানন্দকে ঢাকিয়া রাখে বলিয়া উহা রাত্রি বা নিশা স্বরূপ। অবিবেকী মূঢ়গণ এই অজ্ঞানরূপ নিশায় জাগিয়া থাকেন অর্থাৎ জাগ্ৰং স্বপ্ন মুঘুপ্তির ভোগ্য বিষয় কর্তৃত্ব ও ভোক্তৃত্ব বুদ্ধিতে ভোগ করিয়া থাকেন । কিন্তু বিবেক বৈরাগ্যবান আত্মকাম সাধক কেবলমাত্র পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিয়া বহির্বাসনা পরিত্যাগ করিয়া সৰ্ব্বদা স্বীয় স্বরূপ পরমেশ্বরের মনন করিতে থাকেন । তখন তিনি সাধনার উন্নততর স্তর সমূহের সত্য অনুভব করিতে থাকেন এবং তাহার পূৰ্ব্বের ভোগাসক্ত নিম্ন প্রকৃতি সেই সত্য স্বীকার করিয়া লয়, তাহার মন আর সংকল্প বিকল্প উঠাইয় চিত্তকে বিচলিত করিয়া পরমেশ্বর হইতে র্তাহাকে আকর্ষণ করিয়া, পুনরায় সংসারাসক্ত করিয়া তোলেন। তাহার মন সম্পূর্ণরূপে শান্ত সংকল্প ও স্বমন অর্থাৎ একাগ্র হয়। সমস্ত দীনতা, সমস্ত দুৰ্ব্বলতা পরিত্যাগ করিয়া সাধক তখন আত্মবলে কলীয়ান হইয়া উঠিতে থাকেন। তৎপরে সাধকের স্বরূপাভিমুখী শোধ্যমান চিত্তে অন্ত:জ্যোতি বা অগ্নি বা ব্রহ্মবিদ্যারূপিনী অখণ্ডা, একরস চৈতন্তময়ী আনন্দময়ী পরাশক্তির উন্মেষ হয় । সাধক অহোরাত্র একবৎসর শ্রদ্ধা ও ভক্তির সহিত এই রি বা চৈতন্য-জ্যোতিকে আত্মরূপে মনন করিতে করিতে ক্রমে ক্রমে বিরাট হিরণ্যগর্ত ও ঈশ্বর পদ প্রাপ্ত হন।
যমরাজ নচিকেতাকে তিনটি বর প্রদান করিতে প্রতিশ্রত হওয়ায়, " নচিকেতা বলিলেন— 雕》 শান্তসংকল্পঃ সুমন যথা স্যাৎ . বীতমনু্য গৌতমে মাভি মৃত্যে ।