পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e কঠোপনিষৎ ده د সাক্ষাৎকারের যোগ্য ব্যক্তি। স্বৰ্গ বা নিরতিশয় পরমান প্রাপ্তিই হইতেছে প্রতিপাদ্য বিষয় । অগ্নিবিদ্যা বা অন্ত:শরীরে চৈতন্যজ্যোতিঃ বা কুগুলিনী পরাশক্তির উদ্বোধনই হইতেছে পরমানন্দ প্রাপ্তির সাধন । অন্তঃশরীরে কোটিস্বৰ্য্যসদৃশ ভাস্বর এবং চন্দ্রকোটি সুশীতল এই অগ্নি বা চৈতন্তজ্যোতি: উদ্বোধিত হইয়া সাধককে ক্রমে ক্রমে বিরাট, হিরণ্যগর্ভ এবং ঈশ্বরপদে উন্নীত করিয়া দেয়। ঈশ্বরপদলাভ করিয়া সাধক দেশ কাল কাৰ্য্যকারণ, জন্ম মৃত্যু, শোকমোহ সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করিয়া পরমানন্দ লাভ করেন। এই ঈশ্বর পদ হইতেছে “অহং এর পূর্ণত্ব বা পূর্ণাহন্ত। সাধক তখন নিজেকে সর্বভূতে এবং সর্বভূত নিজেতে অনুভব করিতে থাকেন। কিন্তু অনুভূতির এই অবস্থাও সবিশেষ অবস্থা । এই অবস্থায় ঈশ্বরের অনুগ্রহে নির্বিশ্যে আত্মতত্ত্বের অনুভূতি হয় তখন সাধক স্বরূপে স্থিতিলাভ করেন । ঈশ্বরের অনুগ্রহে আত্মজ্ঞান উদিত ट्श । সাক তখন আলোক ও অন্ধকারের ন্যায় আত্মস্বরূপ অনুভব করিতে থাকেন পরবর্তী অধ্যায়ে এই আত্মজ্ঞান উপদিষ্ট হইয়াছে। অনাত্মবস্তু ও অনাত্মবস্তুর জ্ঞান হইতে সম্পূর্ণ পৃথক করিয়া আত্মতত্ত্ব প্রদর্শন করিতে যাইয়া যম বলিতেছেন— অন্যচ্ছে য়োহন্তৰ্ভূতৈব প্রেয়স্তে উভে নানার্থে পুরুষং সিনীতঃ। তয়োঃ শ্রেয় আদদানম্ভ সাধু ভবতি হীয়তে অর্থাৎ য উ প্রেয়ো বৃণীতে ॥২৯ মোক্ষ এবং অভু্যদয়ের সাধন বিদ্যা ও অবিদ্যার মধ্যে পার্থক্য প্রদর্শন করিয়া-যম বলিতেছেন— শ্রেয় (মোক্ষ প্রাপ্তির কারণ ব্রহ্মবিদ্যা), অন্তং এব িৈনশ্চয়ই o Wል