পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠোপনিষৎ S ጥ<› অপর প্রকৃতির সত্তা ও প্রকাশ সেইজন্য অপর প্রকৃতি ঈশ্বরকে আশ্রয় করিয়া ঈশ্বরচৈতন্তে চৈতন্যময়ী হইয়া বহুরূপে বহুনামে স্পদিত হইয়া খগুভাব, দ্বৈতভাব, কাৰ্য্য কারণ ভাব, উখিত করিয়া আনন্দকে ঢাকিতে থাকে ৷ সাধক সাধনা বলে এই অপর শক্তির রাজসতামস ভাব হইতে সম্পূর্ণ বিমুক্ত হইয়া বিশুদ্ধ সত্ত্ব হন এবং সেই বিশুদ্ধ সত্ত্ব ‘অহং দিয়া ঈশ্বরের স্বরূপ শক্তির অখণ্ড সচ্চিদানন্দময় স্পন্দন অনুভব করিতে থাকেন। এই অনুভূতি কেবল পরমানন্দময় হইলেও উহা স্পন্দন যুক্ত হওয়ায় “অহং’ এবং অনহং ভাব অল্প বিস্তর থাকিয়া যায় । সাধক পরা শক্তির এই স্পন্ন হইতে বিমুক্ত হইতে সম্পূর্ণ বিমুক্ত হইয়া অহং দ্বার উপলক্ষিত যে নির্বিশেষ তত্ত্ব সেই নিবিশেষ আত্মতত্ত্বে স্থিতিলাভ করে । পরবর্তী বল্লী সমূহে এই আয়ুতন্ত্রেণই উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে। এই জীব ভাব ও জগৎভাব যে ঈশ্বরেরই বিবৰ্ত্ত এবং দেশকাল কাৰ্য্য কারণরূপা সৰুরজস্ত মোময়ী অপরাশক্তির পরিণাম তাহ জানিয়া সাধক স্বীয় স্বরূপ পরমানন্দে অবস্থান কারযুক্তকৃত্য হন। নচিকেতা ঈশ্বরপদে উন্নীত হইয়াছেন। অগ্নি বা পরাশক্তি র্তাহাকে পরমানন্দ রূপ পরতত্ত্ব সাক্ষাৎকার করাইলেও তিনি স্পন্দযুক্ত পরমানন্দ কেবল চৈতন্তময় “অহং দ্বারা অনুভব করিতে থাকিলেও তাহাতে তৃপ্ত না হইয়া,"অহ, চলিয় গেলে ‘নিঃম্পন্দ পরমানন্দ’ বলিয়া কিছু থাকে কিনা তাহাই জানিতে অভিলাষী হইয়াছেন এবং জানিতে পারিতেছেন যে অহং চলিয়া গেলে একমাত্র আত্মতত্ত্বই অবশিষ্ট্র থাকে । কি প্রকার বৈরাগ্য হইলে এই আত্মতত্ত্বের সাক্ষাৎ অপরোক্ষামুভূতি হয় তাহা এক্ষণে কথিত হইতেছে— , - স ত্বং প্রিয়ান প্রিয়রপাশ্চ কাম নভিধ্যায়ন নচিকেতোহত্যস্রাক্ষীঃ । ”