পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* কঠোপনিষৎ ל"לל আচাৰ্য্য কর্তৃক উপদিষ্ট হইলে শিয়ের হৃদয়ে তবজ্ঞানের পূর্ণ অভিব্যক্তি হওয়া হেতু অজ্ঞান নষ্ট হইয়া যাওয়ায় শিল্প স্বরূপে স্থিতি লাভ করেন র্তাহার দেহপাতের পর আর গতি হয় না, অর্থাৎ জন্ম হয় না । কারণ শ্রীতি বলেন “ন তস্য প্রাণী: উৎক্রামস্তি, অত্ৰৈৰ সমবলীয়ন্তে” । কিংবা ‘অনন্য প্রোক্তে অগতি; নাস্তি’ এইরূপ যদি বাক্য হয় তাহা হইলে ‘প্রোক্তে'র পর ‘অ’কার থাকায় আকারের লোপ হইয়া “অনন্যপ্রোক্তে গতিরত্রনাস্তি” এইরূপ বাক্য হইতে পারে ; সে স্থলে ঐ বাক্যের অর্থ হইবে যে ব্রহ্মবিদ ব্রহ্মনিষ্ট আচাৰ্য্য কর্তৃক উপদিষ্ট হইলে আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে শিষ্কের অগতি অর্থাৎ অনববোধ হয় ন৷ অর্থাৎ আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানই হইয়া থাকে। শ্রতি বারবার বলিয়াছেন “আচাৰ্য্যবান পুরুষোবেদ ।’ এই আত্মতত্ত্ব আচাৰ্য্য কর্তৃক উপদিষ্ট হইলে জ্ঞাত হওয়া যায় কারণ ), অণীয়ান অণুপ্রমাণাং ( এই আত্মা অণু হইতেও অতি স্বশ্ন ) অতৰ্কাং ( সেই জন্য ইহা কেবল তর্কের বিষয় নহেন ) ॥৩৬ আত্মসাক্ষাংকার বিহীন কেবল তর্ককুশল অনাত্মজ্ঞ মনুষ্ক কর্তৃক উপদিষ্ট হইলে আত্মতত্ত্ব সম্যকরূপে অবগত হওয়া যায় না কারণ এই আত্মা বহু প্রকার তর্কদ্বারা বিভিন্নরূপে প্রতিপাদিত হইয়া থাকেন। কেহ বলেন আত্মা আছেন, কেহ বলেন আত্মা নাই, কেহ বলেন আত্মা কৰ্ত্তা কেহ বলেন আত্মা অকন্তু , কেহ বলেন আত্মা ভোক্তা কেহ বলেন আত্মা অভোক্তা, কেহ বলেন আত্মা চৈতন্যগুণ বিশিষ্ট, আত্মা জড় ও চেতন, আবার কেহ বলেন আত্মা চৈতন্তস্বরূপ, কেহ বলেন আত্মা অণু বা মধ্যম পরিমাণ, কেহ বলেন আত্মা বিহু, কেহ বলেন আত্মা সুখী দুঃখী অশুদ্ধ ও অনিত্য, আবার কেহ বলেন আত্মা নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বভাৰ, এইরূপে তর্ককুশ অনাত্মক্তব্যক্তিগণ কেবল তর্কার আত্মাকে বহুরূপে প্রতিপাদন করেন। ব্রহ্মবিদ ও ব্রহ্মনিষ্ঠ আচাৰ্য্য কর্তৃক আত্মতত্ত্ব সমকৃরূপে উপদিষ্ট হইলে সংশয় বিপর্যয় রহিতভাবে আত্মোপলব্ধি হইয়া থাকে ॥৩৬\ “