পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• م أم لا ঈশ্বরাদি কল্পিত বস্তুর দোষ-গুণ দ্বারা সচ্চিংমুখাত্মক বস্তু লিপ্ত হন না। এই পরমান্দস্বরূপ, সংস্বরূপ, চৈতন্যস্বরূপ বস্তু জীব জগৎ ও ঈশ্বরেরর স্বরূপ। ইনি দ্রষ্টা-দৃশু-দর্শন, প্রমাতৃ-প্রমেয়প্রমাণ, জ্ঞাতৃজ্ঞেয়-জ্ঞান, ভোকৃ-ভোগ্য ভোগরূপ ত্রিপুট বজ্জিত। ইহাতে বিশ্ব-প্রতিবিম্বভাব নাই। ঈশ্বর হইতেছেন বিশ্ব এবং জীবসমূহ প্রতিবিম্ব এরূপ বলা যাইতে পারে। মানুষ মন-বুদ্ধি-চিত্তঅহংকার-দশ ইন্দ্রিয়-পঞ্চপ্রাণ এই উনিশট করণ দ্বারা জ্ঞানার্জন ও কর্ম করিয়া থাকে। অহং ব্রহ্মাস্মি’ এই মনোবৃত্তিরূপ শেষ উপাসনাও অবিদ্যা । কিন্তু ইহা অবিদ্যা হইলেও এই মনোবৃত্তি অখণ্ড সচ্চিদানন্দ রূপিণী ঈশ্বরের চিৎশক্তি যাহা একমাত্র পরমানন্দকে বিষয় করে সেই বিদ্যার প্রকাশের সহায়ক। বিবেক, বৈরাগ্য, নিষ্কাম কর্ম, শ্রদ্ধাও ভক্তির সহিত অভেদে ইশ্বরের ধ্যান এ সমস্তই অবিদ্যার অন্তর্গত । উক্ত উপায়গুলি অবিদ্যার অন্তর্গত হইলেও উহার চিত্তকে শুদ্ধ করিয়া সমষ্টি বুদ্ধির উদ্বোধনে সহায়তা করে। বিশুদ্ধ চিত্তের সমষ্টি বুদ্ধিবিজ্ঞান দ্বারা মানুষ ক্রমে ক্রমে বিরাট্র হিরণ্যগর্ভ ও ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার করিতে সমর্থ হয়। ঈশ্বরতত্ত্ব সাক্ষাৎ উপলব্ধ হইলে বিক্ষেপ দূরীভূত হয় এবং বিদ্যার উদয় হওয়ায় মানুষ স্বীয় স্বরূপ পরমানন্দরূপ অমৃতত্ত্বলাভে কৃতকৃত্যু হয়। এই জন্য ঋষি বলিয়াছেন “অবিদ্যয় মৃত্যুং তত্ব। বিদায়াংমৃতশ্ন তে।” অবিদ্যা বা নিষ্কাম কর্ম গুরুসেবা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সহিত অভেদে ঈশ্বরের ধ্যান দ্বারা ঈশ্বরতত্ত্ব সাক্ষাৎকার করিলে আবিদ্যার আবরণ R