পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ہ/ولا দূরীভূত হওয়ায় এবং পরমানন্দ বিষয়িণী চৈতন্যশক্তির উদয়হেতু মানুষ দেশকাল কাৰ্য্য কারণরূপ মৃত্যুকে অতিক্রম করিয়া বিদ্যা দ্বারা পরমানন্দস্বরূপ অমৃতত্ব লাভ করে । ভগবান ভাষ্যকার শঙ্করাচাৰ্য্যও ঐতরেয় উপনিষদের ভূমিকায় বলিয়াছেন তপআদি বিদ্যোৎপত্তিসাধনং গুরুপাসনাদি চ কৰ্ম বিদ্যাত্মকত্বাং অবিদ্যা উচ্যতে ; তেন বিদ্যামুংপাদ্য মৃত্যুং কামম্ অতিতরতি । ততো নিষ্কামস্তক্তৈষণঃ ব্রহ্মবিদ্যয় অমৃতত্বম অশ্ন তে ইত্যেতম অর্থ দৰ্শয়ন আহ “অবিদ্যয়৷ মৃত্যুং তত্ব। বিদ্যয়াংমৃতমশ্ন তে।” অতএব এই মন্ত্রোক্ত অবিদ্যা মানে কেবল কর্ম এবং বিদ্যা মানে দেবতাবিজ্ঞান নহে। মৃত্যুং তত্ব মানে দেশকাল অতিক্রম করিয়া, অমৃত মানে দেবতাস্বরূপ প্রাপ্তি নহে, অমৃত মানে পরমানন্দ । দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ মন্ত্রে সম্ভ তির ও অসন্তু তির পৃথক পৃথক উপাসনার নিন্দ করিয়া একত্র উপাসনার উপদেশ করা হইয়াছে। সন্তুতি মানে ঈশ্বর, কিন্তু হিরণ্যগৰ্ভ নহে। অসন্তুতি মানে প্রকৃতি। প্রকৃতির সমষ্টিরূপের উপাসন দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার করিয়া ঈশ্বরের অনুগ্রহে স্বীয় স্বরূপ পরমানন্দ প্রাপ্তিই উপদিষ্ট হইয়াছে। • পঞ্চাদশ ও ষোড়শ মন্ত্রে সাধক স্বীয় অহংকার অভিমান পরিত্যাগ পূর্বক ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার প্রার্থনা করিতেছেন—হে ঈশ্বর তুমি ত জগতের পালক পূৰ, সুতরাং তুমি আমাকে । সর্বতোভাবে রক্ষা কর । তুমিই একমাত্র জ্ঞানী, সব জ্ঞ, সববিৎ,