পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۰/و|لا ঈশ্বরের ধ্যান এবং সমুদয় কৰ্ম্মের কত্ত্ব ও ফল ঈশ্বরে অপর্ণ করিয়া জীবন ধারণ করিবার উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে। এরূপভাবে কর্তৃত্ববুদ্ধি ও ভোক্তৃত্ববুদ্ধি পরিত্যাগপূর্বক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সহিত নিরস্তুর ঈশ্বরের ধ্যান র্যাহারা করেন না, র্তাহাদের নিকট হইতে আত্মতত্ত্ব তিরোহিত হইয়া যায়। পক্ষান্তরে যাহারা পূর্বোক্ত উপায় অবলম্বন পূর্বক নিরস্তর ঈশ্বরের ধ্যান করেন, তাহাদের চিত্ত নির্মল হয় এবং সেই বিশুদ্ধ চিত্তে প্রকৃত বিবেকবৈরাগ্যের অমুভূতি হইতে থাকে। ব্ৰহ্মলোকেও তুচ্ছধী হয়, ভোগাশক্তি দূরীভূত হইয়া যায়। তখন চিত্ত শাস্ত, দান্ত, উপরত, সুখে দুঃখে অবিচলিত হইয়। ঈশ্বরেই সর্বদা সমাহিত থাকে। এইরূপে অনন্যভক্তি দ্বারা চিত্ত হইতে গুণ ও কর্মোৎপন্ন ধৰ্ম-অধৰ্ম পাপ-পুণ্য প্রভৃতি যাবতীয় মলিনতা সম্পূর্ণরূপে বিধৌত হইলে সেই বিশুদ্ধ চিত্তে নিরুপাধিক ও সোপাধিক আত্মতত্ত্ব উপলব্ধ হয়। সাধকের এই অনুভূতিই চতুর্থ ও পঞ্চম মন্ত্রে উপদিষ্ট হইয়াছে। এই ব্ৰহ্মাত্মৈক্য সাক্ষাং উপলব্ধ হইলে সাধক শাকমোহা .ত হইয়৷ অভয়পদ প্রাপ্ত হন । ষষ্ঠ ও সপ্তম মন্ত্রে ইহাই প্রদর্শিত হইয়াছে। অষ্টম মন্ত্রে পুনরায় ব্রহ্মের নিগুণ নির্বিশেষ নিরুপাধিক এবং সগুণ সবিশেষ সোপাধিক রূপ উপদিষ্ট হইয়াছে। শ্রদ্ধাভক্তির সহিত নিরস্তর নিষ্কামভাবে অভেদে ঈশ্বরোপাসনা দ্বারা চিত্ত বিশুদ্ধ ন হইলে কিছুতেই আত্মতত্ত্ব । উপলব্ধ হইতে পারে না—ইহাই নবম মন্ত্র হইতে চতুর্দশ এই