পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশোপনিষৎ १> কৰ্ম্মের কর্তা এবং ভোক্ত মনে করিয়া কৰ্ম্মে আসক্ত হয় এবং পুনঃ পুনঃ জন্ম মৃত্যুর বশবৰ্ত্তী হইয় পড়ে ; কারণ একই জন্তে সঞ্চিত ও ক্রিয়মান সমস্ত কৰ্ম্মের ফল ভোগ করা যায় না। এখন দেখা যাইতেছে যে কৰ্ম্ম বন্ধনের কারণ নয়,কিন্তু কৰ্ম্মে কর্তৃত্বের এবংভোক্তৃত্বের অভিমানই বন্ধনের কারণ। কৰ্ম্মে কর্তৃত্বাভিমান এবং ভোক্তত্বাভিমান হইতে কৰ্ম্মফল ভোগ । করিবার প্রবৃত্তি মাতুৰ হৃদয়ে উদিত হয়। কৰ্ম্মফল একজন্মে ভূক্ত না হওয়াহেতু ভোগ করিবার প্রবৃত্তির বশীভূত হইয়া মানুষ পুনঃ পুন: দেহ ধারণ করে এবং জন্ম মৃত্যুর অধীন হইয়া সংসারচক্রে আবৰ্ত্তিত হইতে থাকে। কিন্তু জীবমাত্রকেই কৰ্ম্ম করিতে হয়। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ গীতাতে বলিয়াছেন “নহি কশ্চিৎক্ষণমপি জাতুতিষ্ঠতংকৰ্ম্মকুং” ক্ষণকালও কেহ কৰ্ম্ম না করিয়া থাকিতে পারে না । এখন এই কৰ্ম্ম বন্ধন হইতে কি প্রকারে মুক্ত হওয়া যায় ? কৰ্ম্মবন্ধনের উৎপত্তি হয় কৰ্ম্মফল ভোগ করিবার কামনা হইতে এবং এই কামনার উৎপত্তি হয় নিজের অপূর্ণত জ্ঞান বা স্বীয় স্বরূপ সম্বন্ধীয় ভ্রান্ত জ্ঞান হইতে। স্বীয় পূর্ণ স্বরূপের অজ্ঞান হইতে উৎপন্ন হয় কামনা এবং কামনা হইতে উস্তৃত হয় কৰ্ম্ম, এইরূপে অজ্ঞান কাম কৰ্ম্মরূপ সংসার প্রবাহ প্রবাহিত হয় । কৰ্ম্মক্ষয় হইলে কামনার নাশ হয়, কামনার নাশ হইলে স্বীয় পূর্ণস্বরূপ বিষয়ক অজ্ঞান দূরীভূত হয়। কাৰ্য্য নষ্ট হইলে কারণ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট নাও হইতে পারে কিন্তু কারণ যদি নষ্ট হইয়া যায় তাহা হইলে কাৰ্য্য কখনও হইতে পারে না । অতএব কৰ্ম্ম এবং কামনার কারণ যে স্বরূপ বিষয়ক ভ্রান্তজ্ঞান বা অজ্ঞান সেই অজ্ঞান যদি নষ্ট হয় তাহা হইলে অজ্ঞানের কার্য কামনা ও কৰ্ম্ম নষ্ট হইয়া যায়। অজ্ঞান সহিত কাম ও কৰ্ম্ম নষ্ট হইয়া গেলে জন্ম মৃত্যুর অধীনতা হইতে বিমুক্ত হইয়া মানুষ মৃত্যুঞ্জয় হয়, অমর দয়া যায়। জলাৱা যেমন আদি নিৰ্বাপিত হয় সেইরূপ তত্ত্বজ্ঞান নার অজ্ঞানের নিবৃত্তি হইয়া থাকে। তৎ মানে হইতেছেন ঈশ্বর তত্ব 1, -