পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e ' ۰/و & কর্মের ফল আমি ভোগ করিব।” এইরূপ নাভাবিয়া-কর্ম এবং , কর্মফল ঈশ্বরে সমর্পণ করিলে চিত্ত শুদ্ধ হইতে থাকে একু সেই পবিত্র চিত্তে বিবেক ও পরবৈরাগ্যের উদয় হয় "সাম মন্ত্র ছন্দোবদ্ধ, যে মন্ত্র উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করিয়া যজমান। ঈশ্বরের স্তুতি করেন তাহাকে সাম মন্ত্র বলে । এই সাম মন্ত্র মনে মনেও দীর্ঘভাবে উচ্চারণ করা যায়। যিনি মনে মনে কিংবা অপরের শ্রবণ গোচর করাইয় পুতস্বরে সাম মন্ত্র গান করেন, তিনি উদ্‌গাত নামে পরিচিত। সামবেদ কৃষ্ণবর্ণ, নীলবর্ণ, গাঢ় নীল, গাঢ় কৃষ্ণ । কৃষ্ণ কোন বর্ণ নহে, সমস্ত বর্ণের অভাবই কৃষ্ণ । কৃষ্ণবর্ণ হইতেছে আনন্দের দ্যোতক। ঈশ্বরে প্রথমে রুচি, রুচির পরাকাষ্ঠায় ঈশ্বরে অম্বুরাগ, অমুরাগের পরাকাষ্ঠায় ঈশ্বরে শরণাগতি এবং ‘আমি ও আমার বলিয়া যাহা কিছু আছে তাহ সমস্তই ঈশ্বরে সমর্পণ ; শরণাগতি যথার্থ এবং দৃঢ় হইলে চিত্তে পবিত্রতার উদয় এবং পবিত্রতার পূর্ণ বিকাশে পরমানন্দ স্বরূপ ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার। পূর্বে একই ব্যক্তি ঋক্, যজুঃ ও সাম মন্ত্র দ্বারা ঈশ্বরের আরাধনা করি গুন। একই ব্যক্তি হোতা, অধ্বযু ও উদ্‌গাতা ছিলেন। পরে মন্ত্র সমূহকে পৃথক পৃথক রূপে সংকলিত করা হয়। ঋক মন্ত্র সমূহ একত্র করিয়া ঋগ্বেদ সংহিতা, যজুঃ মন্ত্র সমূহ একত্র করিয়া যজুৰ্বেদ সহিত এবং সাম মুক্ত সমূহ একত্র করিয়া সামবেদ সহিত৷ প্রণীত হয়। সেই সময় হোতী, অধ্বযু , উদ্‌গাত বিভিন্ন ব্যক্তি হইলেন। এক ব্যক্তির স্থানে তিন ব্যক্তি হইলেন। পরে to * * . !