পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনোপনিয়ং so סר অধিদৈবত উপাধি-পরিচ্ছিন্ন ব্রহ্মের যে রূপ তুমি জানিয়াছ তাহাও নিশ্চয় অল্পই জানিয়াছ ; কারণ ব্যষ্টি সমষ্টিরূপে অভিব্যক্ত কি অধ্যাত্ম, কি অধিভূত, কি অধিদৈব উপাধি-পরিচ্ছিন্ন যে রূপ তাহ ব্রহ্মের স্বরূপ নহে। ব্ৰহ্ম হইতেছেন সত্যং জ্ঞানং অনম্বম্, প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম, বিজ্ঞানমাননং ব্রহ্ম, প্রপঞ্চোপশমং শাস্তং শিবং অদ্বৈতং ব্রহ্ম। সেই নিরস্ত সৰ্ব্বোপধি বিশেষ, নিত্য, ভূম, সচ্চিৎ স্থাত্মক ব্ৰহ্ম সুবেদ্য নহেন। অতএব তোমাকর্তৃক ব্রহ্মস্বরূপ নিশ্চয়ই বিচারণীয়। গুরুকর্তৃক এই রূপে উপদিষ্ট ইয়। শিযু সমাহিত চিত্তে একান্তে উপবেশনপূর্বক গুরুকর্তৃক উপদিষ্ট বেদবাক্যের তাৎপর্য্য যুক্তি দ্বারা বিচারপূৰ্ব্বক নিশ্চিত করিবার পশ্চাৎ সেই নি:সন্দিগ্ধ ব্রহ্ম বস্তুকে মনন এবং নিদিধাসন দ্বারা স্বাত্ম রূপে সাক্ষাৎ অপরোক্ষভাবে উপলব্ধি করিয়া গুরুসমীপে আগমন পূর্বক বললেন—আমি মনে করি ব্রহ্মকে আমি জানিয়াছি ॥১ শি এক্ষণে গুরু সমীপে স্বীয় ব্রহ্মাতৃভূতি প্রকাশ করিতেছেন— নাহং মন্যে স্থবেদেতি নোন বেদেতি বেদচ । যো নস্তদ বেদ তদ বেদ নোন বেদেতি বেদচ ॥২৷ অহং ( আমি ) সুবেদ ( ব্রহ্মকে উত্তমরূপে জানিয়াছি । ইতি (এইরূপ) ন মন্তে । মনে করি না ) ন বেদ ইতি নে (আমি যে রন্ধকে একেবারেই জানিনা এরূপও নগে) বেদচ (আমি ব্ৰহ্মকে জানি, অর্থাৎ আমি রক্ষকে জ্ঞেয়রূপে জানি না, কিন্তু আত্মরূপে উপলব্ধি করিয়া এক্ষণে বুঝিতে পারিতেছি আচার্য ও শাস্ত্রৈকগম্য, দুৰ্ব্বিজ্ঞেয়, সৰ্ব্ববিধ ভেদশূন্ত, সচ্চিৎ মুখাত্মক ব্ৰহ্ম আমিই। আমরা সাধারণত: বৌদ্ধ প্রত্যয়কে অর্থাৎ চৈতন্ত-সহিত বুদ্ধির বিষয়াকারে পরিণামরূপ বৃত্তি-জ্ঞানকে ‘জ্ঞান বলিয়া অভিহিত করি। ঘট পটাদি যতকিছু পদার্থ আছে তালদিগকে বুদ্ধির