পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ノ・ বিহিত হইয়াছে। সংহিতা ভাগের অন্তঃগত বলিয়া এই ঈশোপনিষৎকে বাজসনেয়িসংহিতোপনিষৎও বলা হয়। এই উপনিষদে অষ্টাদশ মন্ত্রে ঈশ্বরতত্ত্ব ও আত্মতত্ত্ব উপদিষ্ট হইয়াছে। গ্রন্থে ব্রহ্মবিদ্যাবিষয়ক উপদেশ লিপিবদ্ধ থাকায় গৌণরূপে গ্রন্থকেও উপনিষৎ নামে অভিহিত করা হয়। কোন গ্রন্থের তাৎপৰ্য্য নিণয় করিতে হইলে ছয়ট উপায় অবলম্বন করিয়া তাৎপৰ্য্য নির্ণয় করিতে হয়। সেই ছয়ট উপায় হইতেছে (১) উপক্রম-উপসংহার, (২) অভ্যাস, (৩) অপূর্বতা, (৪) ফল, (৫) অর্থবাদ, (৬) উপপত্তি। উপক্রম-উপসংহার' অর্থাৎ প্রথমেই যে বিষয় উত্থাপন করিয়া গ্রন্থ আরব্ধ হয়, গ্রন্থের শেষে সেই বিষয়েই পৰ্য্যবসান। অভ্যাস' মানে হইতেছে গ্রন্থের যাহা বিষয়, গ্রন্থমধ্যে তাহার পুনঃ পুনঃ উল্লেখ। অপূর্বতা’ মানে গ্রন্থের যাহা বিষয় তাহ গ্রন্থব্যতীত অন্য কোন প্রমাণগম্য নহে অর্থাৎ গ্রস্থৈকপ্রমাণগম্যতা। ফিল’ অর্থাৎ গ্রস্থোপদিষ্ট বিষয়োপলব্ধির ফল । ‘অর্থবাদ’ হইতেছে গ্রন্থপ্রতিপাদ্য বিষয়ের প্রশংসা কিংবা তদিতর বিষয়ের নিন্দ । উপপত্তি মুনে যুক্তি, আমরা এক্ষনে উক্ত ছয়টা উপায় অবলম্বন করিয়া আলোচ্য ঈশোপনিষদের তাৎপর্ঘ্য নির্ণয় করিতে প্রবৃত্ত হইব । “ঈশ বাস্তম্" এই বাক্যদ্বারা এই উপনিষদের উপক্রম করিয়া “সপৰ্য্যগাং’ কিংবা “অগ্নে নয়" এই বাক্যে উপনিষদের উপসংহার করা হইয়াছে অর্থাৎ প্রথমে ঈশ্বর এবং শেষেও ঈশ্বরেই গ্রন্থ পরিসমাপ্ত হইয়াছে। গ্রন্থমধ্যে ঈশ্বরের কথাই