পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনোপনিযুৎ } ל"ל জান, ব্রহ্মসম্বন্ধীয় অপরোক্ষ ভ্রম বিদূরিত করিতে পারে না। কিন্তু শাস্ত্র এবং গুরুর উপদেশ অনুসারে মনন নিদিধ্যাসন দ্বারা সাধক যখন সৰ্ব্ববৌদ্ধপ্রত্যয় সাক্ষী সচ্চিৎ মুখাত্মক বস্তুকে আত্মরূপে সাক্ষাৎ উপলব্ধি করেন তখনই তাহার সম্যক দর্শন হয় এবং এই সম্যক দর্শনই অমৃতত্ব লাভের হেতু হইয়া থাকে। আত্মবিষযক অজ্ঞান হইতেই পুনঃ পুনঃ নানাবিধ যোনীতে জন্মগ্রহণ করিয়া অশেষবিধ কণ্ঠভোগ করিতে হয় । সেইজন্য মোক্ষের দ্বার স্বরূপ মন্বযুদেহ প্রাপ্ত হইয় এই শরীরে এই জন্মেই অতিশয় প্রযঃপূৰ্ব্বক আত্মজ্ঞান লাভ করিয়া জীবন সফল করা কৰ্ত্তব্য । শ্রুতি সেই জন্য বলিতেছেন— ইহচেদবেদীদথ সত্যমস্তি । ন চেদিগ্ৰবেদীমূঃ ষ্টী বিনষ্টিঃ ॥ ভূতেষু ভূতেষু বিচিত্যধীরাঃ । প্রেত্যাম্মাল্লোকাদম্বত ভবন্তি ॥৫ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব শ্লোকসমূহে আত্মজ্ঞান লাভের যে উপায় বিহিত হইয়াছে সেই উপায় অবলম্বন করিয়া আত্মজ্ঞান লাভের যোগ্যতা অর্জন পূৰ্ব্বক— ইহ (এই জন্মে, এই মনুস্থ শরীরে) চেৎ আবেদীং (যদি কেহ ব্ৰহ্মাত্মৈকজ্ঞান লাভ করিতে পারেন অর্থাৎ স্বীয় ব্রহ্মরূপ জানিতে পারেন ) অথ ( তাহ"হইলে ) সত্যং অস্তি ( পরমার্থতত্ত্বলাভ হেতু তাহার মনুষ্ক জন্ম সফল হয় ) ইহ (এই মন্ত্যদেহে, এই জন্মেই ) চেৎ (যদি কেহ )