পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র


দুজনে ধান আর লঙ্কা খেতে লাগল

তখন কাক বললে, ‘কি বন্ধু, এখন?’

চড়াই বললে, ‘এখন আর কি হবে। বন্ধু হয়ে যদি আমার বুক খেতে চাও, তবে খাবে। তবে ঠোঁট দুটো ধুয়ে নিও, তুমি নোংরা জিনিস খাও।’

কাক বললে, ‘আমি ঠোঁট ধুয়ে আসছি।’ বলে সে গঙ্গায় ঠোঁট ধুতে গেল।

তখন গঙ্গা তাকে বললেন, ‘তোর নোংরা ঠোঁট আমার গায়ে ছোঁয়াসনে। জল তুলে নিয়ে ঠোঁট ধো।’

তাতে কাক বললে, ‘আচ্ছা, আমি ঘটি নিয়ে আসছি।’ বলে সে কুমোরের কাছে গিয়ে বললে—

কুমোর, কুমোর! দে তো ঘটি,
তুলব জল, ধোব ঠোঁট—
তবে খাব চড়াইর বুক।

 কুমোর বললে, ‘ঘটি তো নেই। মাটি আন, গড়ে দি।’ শুনে কাক মোষের কাছে তার শিং চাইতে গেল, সেই শিং দিয়ে মাটি খুঁড়বে। কাক বললে—

মোষ, মোষ! দে তো শিং,
খুঁড়ব মাটি, গড়বে ঘটি,
তুলব জল, ধোব ঠোঁট—
তবে খাব চড়াইর বুক।

 শুনে মোষ রেগে তাকে এমনি গুঁতোতে এল যে সে সেখান থেকে দে ছুট!

 তারপর সে কুকুরের কাছে গিয়ে বললে—

কুত্তা, কুত্তা! মারবি মোষ,
লব শিং, খুঁড়ব মাটি, গড়বে ঘটি,
তুলব জল, ধোব ঠোঁট—
তবে খাব চড়াইর বুক।

কুকুর বললে, ‘আগে দুধ আন, খেয়ে গায়ে জোর করি, তবে মোষ মারব এখন।’ শুনে কাক গাইয়ের কাছে গিয়ে বললে—

গাই, গাই! দে তো দুধ,
খাবে কুত্তা, হবে তাজা,
মারবে মোষ, লব শিং,