নিজের হাতে ছবি এঁকে, নিজেব নব প্রতিষ্ঠিত ইউ বায এণ্ড সন্সেব কার্যালয় থেকে, নিজেব প্রেসে মুদ্রিত কবে, এই বই লেখক প্রকাশ কবেছিলেন। উপেন্দ্রকিশোব বিশ্বাস করতেন আমাদেব শিক্ষা ও সংস্কৃতির মূলে আছে রামায়ণ, মহাভারত ও পৌরাণিক ঐতিহ্য। এগুলি না জানলে নিজেদের বা নিজের দেশকে জানা যায় না।
পুরাণ হল প্রাচীন ইতিবৃত্ত ও কিংবদন্তী দিয়ে তৈরি শাস্ত্রবিশেষ। আঠাবোটি পুরাণ আছে, যথা ব্রহ্ম, পদ্ম, ব্রহ্মবৈবর্ত, লিঙ্গ, বরাহ, স্কন্দ, বামন, কূর্ম, মৎস্য, গরুড়, ব্রহ্মাণ্ড। তাছড়া নৃসিংহ কালিকা ইত্যাদি উপপুরাণও আছে। পণ্ডিতবা সবগুলিকে সমান গুরুত্ব দেন না। সাধরণ লোকের পক্ষেবগুলি বিশদভাবে পড়াও সম্ভবনয়। অথচ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির মূলে এগুলিও আছে।
বর্তমান গ্রন্থে উপেন্দ্রকিশোর বাছাই করে কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনী ছোটদের উপযুক্ত করে লিখেছেন। যেমনই সব গল্প, তেমনই তার ভাষা। লেখাগুলি মোটামুটি সন্দেশ-এ প্রকাশিত কালানুক্রমেই বিন্যস্ত হল।