আদিকাণ্ড
সরযূ নদীব তীরে অযোধ্যা নগর,
দেবতাব পুবী হেন পরম সুন্দর।
সোনা মণি মুকুতায় করে ঝলমল,
ছায়া লয়ে খেলে তব সরযুর জল।
বড় ভালো দশরথ সে দেশের রাজা,
দুঃখী জনে দেন সুখ, শঠে দেন সাজা।
বাণী তাঁর তিনজন, পরীর মন,
দেবতা সেবায় সদা কৌশল্যাব মন।
কৈকেয়ী রূপসী বড়, থাকেন আদরে,
সুমিত্রা সরলা তাঁর মুখে মধু ঝরে।
ছেলে নাই, আহা তাই ব্যথা বড় মনে,
কত পূজা করে রাজা আনি মুনিগণে।
আসিলেন ঋষ্যশৃঙ্গ মুনিমহাশয,
শিঙ নেড়ে কথা কন, দেখে লাগে ভয়।
ভারি যজ্ঞ করিলেন সেই মুনিবর,
‘পুত্রেষ্টি’ তাহার নাম, দেখিতে সুন্দর
আগুনে ঢালিযা ঘৃত, যত মুনিগণে।
সুগভীর সুরে মন্ত্র পডেন সঘনে।
সে আগুন হতে তায়, পায়স লইয়া,
লালবেশে দেবদূত আসিল উঠিযা।
কালো মুখে হাসি, তাহে ঘোর দাড়ি জট,
লাল চোখ পাকাইযা তাকায় বিকট।
বাজারে পাস দিয়া কহিল সেন,
“বাণীদের দাও গিয়া করিতে সেবন।”
এতেক বলিয়া দূত গেল মিলাইয়া,
সুখে খান বাণীগণ পায়স বাঁটিয়া।
তাহার পরে বছর গেলে,
রাজার হল চাবিটি ছেলে।
আদরে তুলে নিলেন বুকে,
সুখে হাসি ফুটিল মুখে।
বাজনা বাজে মধুর স্বরে,