মায়েরে দেখিয়ো ভাই করিয়া যতন।”
এই বলি রাম তাঁরে করেন বিদায়,
ভরত খড়ম লয়ে যান অযোধ্যায়।
পুরীর ভিতরে কিন্তু নাহি যান আর,
নন্দীগ্রামে রহিলেন, নিকটেই তার।
রামের খড়ম রাখি উঁচু সিংহাসনে,
তাহার উপরে ছাতা ধরেন যতনে।
বাতাস করেন তারে চামর লইয়া,
না করেন কোনো কাজ তারে না বলিয়া।
পরেন গাছের ছাল, খান শুধু ফল,
মনের দুঃখেতে তাঁর চোখে ঝরে জল।
অরণ্যাকাণ্ড
তার পরে সীতা আর লক্ষ্মণেরে নিয়া
দণ্ডক বনেতে রাম গেলেন চলিয়া।
দণ্ডক বনেতে যেতে লাগে বড় ডর,
হাতি সিংহ বাঘ সেথা ফেরে ভয়ংকর।
বিরাধ বলিয়া থাকে রাক্ষস সেথায়,
বিঁধে ব্রহ্মার বরে অস্ত্র তার গায়।
খিঁচাইয়া রাখে দাঁত পথ-ঘাট জুড়ি।
কড়্মড়ি হাতি খায়—এই বড় ভুঁড়ি!
রামেদের দেখে বেটা আইল ধাইয়া,
তাড়াতাড়ি দিল ছুট সীতারে লইয়া।
শ্রীরাম কাঁদেন তায় করি হায়-হায়,
লক্ষ্মণ বলেন রুষি, “মারহ বেটায়।”
শুনিয়া বিরাধ কয়, “ঝাট্ পালা ঘরে!
হেথেরটি মোর গায়ে বিন্ধিবে না করে!”
সাত বাণ যদি রাম মারিলেন তারে,
খেঁকায়ে আইল বেটা রাখিয়া সীতারে।
ঝেড়ে ফেলে বাণ সব, ধায় শূল নিয়া,
রাম দেন সেই শূল বাণেতে কাটিয়া।
তাহে দুষ্ট দিল ছুট দুভাইকে লয়ে,
কতই তখন সীতা কাঁদিলেন ভয়ে।
ভাঙিলা দুভাই তবে রাক্ষসের হাত