আনন্দে তখন দেশে চলিল সকলে,
আকাশ ফাটিয়া যায় তার কোলাহলে।
দেখিতে-দেখিতে হনু এসে কিষ্কিন্ধ্যায়,
রামের পায়ের ধূলা লইল মাথায়।
সীতার মানিক দিয়া কহিল সকল,
আনন্দেতে শ্রীরামের চোখে এল জল।
লঙ্কাকাণ্ড
তারপরে মিলিয়া সকলে,
লঙ্কায় চলিল দলে-দলে,
গণিয়া না হয় শেষ, ধূলায় ছাইল দেশ
আকাশ ফাটিল কোলাহলে।
সভা মধ্যে বসিয়া রাবণ
বলিছে, “কহ তো সভাজন,
একেলা বানর আসি সকলই যে গেল নাশি,
উপায় কি হইবে এখন?”
সবে কয়, “কেনে কর ডর?
লাখো মাল বান্ধিবে কোম্মর,
হেথের লিবেক ভারী, বান্দর দিবেক মারি,
তুই থাক্ বসে গদ্দিপর!”
সেইখানে ছিল বিভীষণ,
বিনয়ে সে কহিল তখন,
“সীতারে রাখিলে ধরে, সকলে মরিব পরে,
ফিরায়ে দেহ গো এইক্ষণ!’’
ভালো কথা কহিল যে জন,
গালি দিল তাহারে রাবণ,
মনের দুঃখেতে তাই, গিয়া শ্রীরামের ঠাঁই
বন্ধু তাঁর হল বিভীষণ।
তারপরে যতেক বানর
বড়-বড় আনিল পাথর,
গাছ কত ভারী-ভারী, আনে তা কহিতে নারি,
তাহে নল বাঁধিল সাগর।
নলের কি বুদ্ধি চমৎকার,
তেমন দেখে নি কেহ আর।