অনেকখানি সুধা;
চকোর পাখি জব্দ এবার, কেমন করে ভাই,
মিটাবে তার ক্ষুধা?
আয় না রে ভাই, ছুটে যাই, খুঁজি চারিদিকে,
পাতি পাতি করে,
সুধার বাশি কোথায় জড়, চাঁদের কণাটুকু,
কোথায় আছে পড়ে?
প্রার্থনা
বিজন বনে কুসুম কত বিফলে বাস বিলায়ে যায়,
নীরবে আহা ঝরিয়া পড়ে কেহ ত ক্ষতি মানে না তায়।
তবু ত প্রভু তাহারো তরে করুণা ধারা তোমার বয়,
বরষা বারি ধরায় ঝরে, উথলে আলো ভুবনময়।
তোমারি প্রেমে শিশির সুধা ফুলের ক্ষুধা করে গো নাশ,
তোমারি রবি বিকাশে আসি সে চারু হাসি বিমল বাস।
অতুল তব সেই সে দয়া রাখিছে মোরে রজনী দিন,
জয় হে দেব! জীবন মম রহুক তব চরণে লীন।
মায়ের কোলে পালিছ মোরে অমৃতধারে করায়ে স্নান,
বরণ রস লহরী মাঝে পুলকে মম মজায়ে প্রাণ।
ফুটায়ে যদি ফুলের মত তুলিছ এত যতনে নাথ,
ফুলেরি মত চরণতলে রাখিয়ো মোরে দিবস রাত।
বাবার চিঠি
মাগো আমার সুখলতা, টুনি, মণি, খুশি, তাতা,
কাল আমি খেয়েছি শোন, কি ভয়ানক নেমন্তন,
জলে থাকে একটা জন্তু দেখতে সে ভয়ানক কিন্তু!
মাছ নয়, কুমির নয়, করাত আছে ছুতার নয়,
লম্বা লম্বা দড়ি রাখে, লাঠির আগায় চোখ থাকে;
তার যে কতগুলো পা ঢের লোকে তা জানেই না;
দুটো পা যে ছিল তার, বাপরে সে কি বলব আর!
চিমটি কাটত তা দিয়ে যদি ছিড়ে নিত নাক অবধি!