তার মাথাটা কচকচিয়ে খেয়েছিলাম মুলো দিয়ে।
আর একটা সে কিসের ছা নাইকো মাথা নাইকো পা!
কিন্তু তার মাকে জানি তার আছে পা দুখানি!
আরেকটা সে কি যে ছিল, খেতে খেতে পালিয়ে গেল।
ময়মনসিংহের চিঠি
সৈত্যাদ্দা, হা হা হা, |
কথাডা শুইন্যা যা, |
|
ঋতু
মোরা কালের সাথে বেড়াই ঘুরে মায়ের শিশুর মত,
মোরা আপন কাজে আপন মনে থাকি সদাই রত।
গগন মাঝে মেঘের কোলে
অচল শিরে নদীর নীরে
বরণ গন্ধ গীত ছন্দ জাগাই অবিরত।
গ্রীষ্ম : মোরা নিদাঘ দিনে,
তার ভীষণ রোষে সাগর শোষে, দহে ধরার অঙ্গ,
তপ্ত পবন বহে সঘন, কাঁপেন বসুন্ধরা
রবির প্রখর করে, হরে জীবন, ঝরে অনল ধারা।
বর্ষা : মোরা শীতল করি পৃথিবীরে, নির্মল বরষা নীরে,
ঘোর গগনতল ছল ছল নীল জলদ ঘন ঘোরে।
নীরদ গুরু গুরু গম্ভীর গরজে, দুরু দুরু হৃদয়ে,
অবিরল বর্ষণ ঝর ঝর প্লাবিত সকল চরাচর।
চমকি চমকি চপলা চলে, চঞ্চল কুটিল বিভঙ্গে;
রাজিত ইন্দ্র-শরাসন সুন্দর জলধর অঙ্গে।
শরৎ : মোরা ধরার দেহে ফুটাই কান্তি মুখে সুখের হাসি,
নিশার গলে তারার মালা, ভালে বিমল শশী
মোহন বেশে, ধরায় আসে গোধূলি রূপসী,
অঞ্চলে শেফালি শোভে শিরে কিরণ রাশি।