বেহাগ মিশ্র। কাওয়ালি
চরণ-তলে পড়ে রহিব! প্রভু হে যে ইচ্ছা তোমার!
মোরা আর কিছু নাহি জানি; প্রভু হে, যে ইচ্ছা তোমার!
বাধা নাহি ছিল কিছু দিতে শুধু দুখ, তবু দয়াময় দিলে কত সুখ,
প্রভু, দীনে নিলে কিনে, কি বলিব আর!
ভকতি করিয়া করি তব গুণগান,
সুখে দুখে দেহ পিতা পদতলে স্থান;
হউক প্রার্থনা এই জীবনের সার।
মুলতান। কাওয়ালি
জয় দীন-দয়াময়, নিখিল-ভুবন-পতি,
প্রেমভরে করি তব নাম।
আজি ভাই ভগিনী মিলি পরাণ ভরিয়া সবে
তব গুণ গাই অবিরাম।
ভকতি করিয়া নাথ পূজি তোমারে,
প্রভু গো তোমারেই চাহে সবার প্রাণ;
হাত জুড়িয়া মোরা নিয়ে প্রণতি করি, আশিস’ আশিস’ প্রাণারাম।
হায়, অন্ধ সবে মোরা চক্ষু থাকিতে নাথ, ধূলিতে পড়িয়া অসহায়;
আর কে বা আছে গো হেন, কাছে থাকিয়া সদা
ডাকে, “পাপী, আয় আয় আয়!”
রেখো না রেখো না নাথ ফেলিয়ে আঁধারে, কোথায় এলেম পথ নাহি হেরি;
প্রভু এই জগতে তব থাকি যতদিন মোরা,
তব শান্তিসুধা করি পান;
আর ভুলিয়া অপর সব মনের হরষে যেন
করি সদা ও গুণগান!
শেষে পৃথিবীর যবে ফুরাইয়ে খেলা,
তোমারি আদেশে ত্যাজিব এ দেহে;
ডাকিয়া লইও পিতা তোমার সুখের দেশে, চিরশান্তিময় যেই স্থান।
বিভাস। একতালা
বল দেখি ভাই এমন করে ভুবন কেবা গড়িল রে!
গগন ভরে তারার মাণিক ছড়ায়ে কে রাখিল রে!
উজল ঊষায় আলোক-খেলা, তাহে মোহন মেঘের মেলা,
নবীন রবি শোভন শশী হেরে নয়ন ভুলিল রে!
শীতের পবন বহে ধীরে, দোলা দিয়া নদী-নীরে,
দুলিয়ে কমল, বকুল ফুলে, সুবাস নিয়ে যায় গো হরে।