আজ সব মোষ খেয়ে ফেলত।’
সেই চিল তো খাবার খুঁজতেই বেরিয়েছে, আর মেছুনীর ঝুড়ির ভিতর থেকে দুই পালোয়ান কুস্তি লড়ছে। মেছুনী খালি তাদের কথাই ভাবছে, চিলের কথা আর তার মনে নেই। ঠিক এমনি সময় চিল তাকে দেখতে পেয়ে ছোঁ মেরে তার মাথা থেকে ঝুড়ি নিয়ে পালাল।
সেই দেশের রাজার মেয়ে ছাতে বসেছিলেন। দাসী তাঁর চুল আঁচড়ে দিচ্ছিল।
রাজার মেয়ে আকাশের দিকে চেয়ে দেখছেন, এমন সময় তাঁর চোখে কি যেন পড়ল।
রাজার মেয়ে চোখ বুজে বললেন, ‘দাসী, দেখ দেখ, আমার চোখে কি পড়ছে!’
রাজার মেয়ের চোখে কি পড়েছে দাসী কাপড়ের কোণ পাকিয়ে, তাতে থুতু লাগিয়ে, তাই দিয়ে রাজকন্যার চোখের ভিতর থেকে ভারি চমৎকার একটি ছোট্র কালো জিনিস বার করলে।
রাজকন্যা বললেন, ‘কি সুন্দর! কি সুন্দর! দাসী, এটা কি?’
দাসী বলতে পারলে না সেটা কি। বাড়ির ভিতরের সকলে দেখলে, কেউ বলতে পারলে না সেটা কি। রাজা এলেন, মন্ত্রী এলেন, তাঁরাও বলতে পারলেন না সেটা কি।
তখন রাজা বড়-বড় পণ্ডিতদের ডাকিয়ে আনলেন।
তাঁদের কাছে এমন সব কল ছিল, যা দিয়ে পিঁপড়েটাকে হাতির মতন দেখা যায়। সেই কলের ভিতর দিয়ে দেখে তাঁরা বললেন, ‘এটা তো দেখছি একটা ঝুড়ি, তার ভিতরে কতকগুলি মাছ আছে, আর দুজন লোক কুস্তি লড়ছে।’
পিঁপড়ে আর পিঁপড়ীর কথা
এক পিঁপড়ে, আর এক পিঁপড়ী ছিলো। পিঁপড়ী বললে, ‘পিঁপড়ে আমি বাপের বাড়ি যাব, নৌকা নিয়ে এস।’ পিঁপড়ে একটি ধানের খোসা ভাসিয়ে নিয়ে এলো। পঁিপড়ী তা দেখে বলল ‘কি সুন্দর নৌকো! এসো পিঁপড়ে আমাকে বাপের বাড়ি নিয়ে চলো।’ পিঁপড়ে আর পিঁপড়ী ধানের খোসায় উঠে বসে, নৌকা ছেড়ে দিল। খানিক দূরে গিয়ে সেই নৌকা চড়ায় আটকে গেল।তখন পিঁপড়ে বললে, ‘পিপড়ী আমিও ঠেলি তুমিও ঠেল।’
আমার কথাও ফুরিয়ে গেল!