পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ১৬০ সংখ্যা।

পথ যখন রহিয়াছে, তখন আসামী মনে করিলে আমাদের সাড়া পাইয়াই স্বচ্ছন্দে পলাইতে পারিত, কিন্তু কেন পালায় নাই বলিতে পার?”

 কেনা। তা আসামীর মনের কথা আমি কেমন করিয়া জানিব ভাই?

 আমি। আমার বোধ হয়, আসামীর সঙ্গে আরো কেহ ছিল, সে ঐ খিড়্‌কী দিয়া পলায়ন করিয়াছে।

 কেনারাম দাদা বড় সাদাসিধে লোক। তিনি অম্লানবদনে কহিলেন—“তার আর আশ্চর্য্যটা কি?”

 আমি। কমিশনার সাহেব আসিবার পুর্ব্বে আমরা সে বিষয়ে একটা অনুসন্ধান করি এস না দাদা।”

 কেনা। অত হাঙ্গামায় দরকার কি? লাস চৌকি দিবার ভার পাইয়াছি, লাসই চৌকী দিই এস।

 অল্পক্ষণ পরেই পুনরায় কেনারাম দাদা কহিলেন, “তবে তুমি যখন ডিটেক্‌টিভ বিভাগের লোক, তখন সে বিষয়ে অনুসন্ধান করাটা তোমার উচিত বটে।”

 আমি। আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় দাদা?

  কেনা। কিসে তুমি অনুমান কর, তা ত আমি কিছুই বুঝিতে পারি না ভাই! একজন লোকে কি গুলি করিয়া অপর একজনকে মারিতে পারে না——যে তুমি আসামীর সঙ্গে আরো লোক ছিল, অনুমান করিতেছ?

 আমি। তার একটা বিশেষ কারণ আছে—সে যখন ধরা পড়ে, তখন সে “পুলিস হাম্‌কো পাক্‌ড়া হ্যায়”—বলে চীৎকার করিয়া উঠিবে কেন? আমার মনে হয়, নিশ্চয়ই তার সঙ্গী