পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YVO উৎকলে শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্য। রাত্ৰি দিবস,” চলিয়া গােদাবরী তীরে উপস্থিত হইলেন । তথায় গোদাবরীর অপর নাম গৌতমী। প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে গৌতমী গোদাবরীর শাখা। বৰ্ত্তমান রাজমহেন্দ্ৰী নগর গৌতমী শাখার উপর । অনেকে বলেন ইহারই পুরাতন নাম বিদ্যানগর। “গোদাবরীর তীরে চলি আইলা কথো দিনে ৷” . —শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত । পশ্চিমঘাট পৰ্ব্বত হইতে নিঃসৃত হইয়৷ পূৰ্ব ঘাট পৰ্যন্ত দাক্ষিণাত্য প্ৰদেশকে নদীসনাথ করিয়া গোদাবরী প্ৰবাহিতা । গোদাবরী ভারত বর্ষের একটী পবিত্ৰ নদী-—“গঙ্গাচ। যমুনাচৈব গোদাবরী সরস্বতী।” ইহার দৈবোৎপত্তি ও পবিত্রতা সম্বন্ধে অনেক উপাখ্যান আছে। এদিকে প্রাকৃতিক রমণীয়তায় গোদাবরীধৌত ভূমি অদ্বিতীয় বলিলে অত্যুক্তি হয় না। মহাকবি ভবভূতির দণ্ডকারণ্যের বর্ণনা পড়িলেই গোদাবরীর তীরভূমির মনোহারিত্বে ও ভীষণত্ব উভয়ই বুঝিতে পারা যায়। 'कण्डुखविपगण्डपिण्डकषणीत्कन्यन सन्यातिभिधर्धर्मस'सितबन्धनैः स्वकुसुमेरश्चन्ति गोदावरौम् । छायापखिकरमाणबिष्किरमुखव्याकृष्टकोटल्वच: कूजत्क्तान्त कपोतकुक्,टकुलाः कूले कुलायद्रुमाः ॥–उत्तरचरितम् গোদাবরীর তীরে অনেকগুলি বৃক্ষ আছে, তাহাতে পক্ষিগণ কুলায় নিৰ্ম্মাণ করিয়া অবস্থিতি করে ; সেই সকল বৃক্ষে কপোত, ও কুকুটগণ মনোহর শব্দ করিতেছে। পক্ষিগণ সেই বৃক্ষের পুরাতন ত্বকের মধ্য হইতে চঞ্চ দ্বারা পোকাগুলিকে আকর্ষণ পূর্বক বাহিরে আনয়ন করিয়া তদীয় ছায়ায় ভূমিতে ঠোকরাইয়া খাইতেছে। চুলকণা রোগযুক্ত হস্তিগণ সর্বদা গণ্ডপিণ্ড ঘর্ষণ করায় কম্পিত বৃক্ষ হইতে কুসুমরাশি জলে পতিত হইতেছে। ইহাতে বােধহয় যেন তীরস্থ বৃক্ষরাজি কুসুম দ্বারা গোদাবরীর অৰ্চনা করিতেছে। :