পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মতত্ত্ব-পরিশিষ্ট। অধুনা অনেক স্থলে অনেক রকমের ধৰ্ম্ম-সভা সংস্থাপিত হইতেছে, অনেকে প্রচারক-পদবী অধিরূঢ় হইয়া স্ব স্ব রুচি ও সুবিধা অনুসারে বিবিধ সমন্বয় প্ৰকটিত করিয়া যশোভাগী । হইতেছেন। কিন্তু কি জানি কেন প্রকৃত হিন্দুত্বাভিমানী ব্যক্তি তাহাতে সন্তোষ লাভ করিতেছেন না । তাহদের মতে ধৰ্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধে অধুনা যে প্ৰবন্ধ পাঠ বা সমালোচনা হইতেছে, তাহাতে ধৰ্ম্মের যথার্থ স্বরূপ নির্ণীত না হইয়া, ধৰ্ম্ম বিষয়ে অনেকগুলি অসহনীয় সন্দেহ আসিয়া, অনেকের চিরন্তন বিশ্বাসের শীর্ণমূলকে শিথিল করিয়াছে । অনেকের হয়ত তীব্ৰ জ্ঞান পিপাসা চরিতার্থ না হইয়া বদ্ধিত হয় নাই, বরং আপনাআপনি নিবৃত্তপ্রায় হইয়াছে। অনেকে অনেক রকম আপাতমধুর বাক্য, যুক্তি ও পরামর্শের সহিত সমুদাহৃত করিতেছেন। কিন্তু জলের পিপাসা সুমধুর দুধে যাইবার নহে। সম্মুখে পিযুষসন্নিভ পবিত্র পেয়-পরিপূর্ণ ক্তিরাষ্ময়-কুম্ভ থাকিলেও তৃষিত ব্যক্তি সুশীতল এক পাত্র জল ছাড়া আর কিছুই চায় না। এই কথা নৈষধকার কবি শ্ৰীহৰ্ষ স্পষ্টাক্ষরেই বলিয়াছেন “পিপাসুত শান্তিমুপৈতি বারিণী, ন জাতু দুগ্ধান্মধুনোহধিকাদপি ।”