পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yet সংশয় না থাকিলে নির্ণয় হইবে কাহার ? প্রয়োজন থাকিলে প্রবৃত্তি হয়, আর প্রবৃত্ত হইয়া পদে পদে সন্দিগ্ধ হইলে পূর্বপক্ষ উপস্থিত হইয়া থাকে। তদনন্তর অভ্রোন্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারা যায়। ইহাই শাস্ত্রের নিয়ম ও প্ৰত্যক্ষসিদ্ধ। বৈয়াসিক ন্যায়মালা সর্বাদে বলিয়াছেন ও কাৰ্য্যতঃ করিয়াছেন যে “একো বিষয়সন্দেহ পূর্বপক্ষাবভাসকঃ। শ্লোকোহ পরস্তু সিদ্ধান্তবাদী সঙ্গতয়ঃ ক্ষুটাঃ ॥ এক একটি অধিকরণ পঞ্চাবয়ব যথা—বিষয়, সন্দেহ, সঙ্গতি, পূর্বপক্ষ ও সিদ্ধান্ত। শঙ্করাচাৰ্য্য, ব্যাসদেবকৃত সূত্ৰনিচয়ের প্রাঞ্জল ভাষ্য লিখিয়া থাকিলেও ব্যাসাধিকরণমালা গ্রন্থে বৈয়াসিক ন্যায়মালা-রচয়িত পঞ্চাবয়ব প্রদর্শনে অধিকরণ গুলিকে আরও প্রাঞ্জলতর করিয়া পাঠাখীর যথেষ্ট সুবিধা করিয়া দিয়াছেন । রচয়িতার নাম জানিতে পারা যায় নাই, পরন্তু অজ্ঞাতনামা নিঃস্বার্থপর সেই মহাত্মা! আমাদের কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশের পবিত্ৰস্থল সন্দেহ নাই । তিনি দুই দুইটা শ্লোকে এক একটি অধিকরণের সংগ্ৰহ করিয়াছেন। প্ৰত্যেক অধিকরণে সঙ্গতি না দেখাইলেও অথবা দেখান আবশ্যক মনে না করিলেও বিষয়, সন্দেহ, পূর্বপক্ষ ও সিদ্ধান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন। আমাদের ধৰ্ম্মসভায় ধৰ্ম্মতত্ত্বরূপ বিষয়টির সন্দেহ মাত্র উল্লিখিত বা আলোচিত হইয়াছে, পূর্বপক্ষ পৰ্যন্ত যায় নাই, সুতরাং সিদ্ধান্তান্বেষী ব্যক্তি যদি তাহাতে বিরক্তি বা - ঔদাস্য প্ৰকাশ করিয়া