পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ა თ ა ] থাকেন, তাহা হইলে , সে তাহার অসহিষ্ণুতা বা ধৈৰ্যাচুতি বলিতে হইবে। হয়ত কেহ ভাবিতে বা বলিতে পারেন, ধৰ্ম্মতত্ত্ব বিষয়ে ওরূপ সন্দেহ বা পূর্বপক্ষ সঙ্গত নহে। তন্দ্বারা অনাস্থা আসিয়া ধৰ্ম্মের মূলোচ্ছেদের সহায়তা করে । আমরা বলি সিদ্ধান্তান্বেষী ব্যক্তি ত একথা বলিতেই পারেন না, সাধারণে বলিলেও হাস্য সম্বরণ করা যায় না। এ সভা বা কেনি ছার বা ইহার আলোচ্য ধৰ্ম্মতত্ত্ব, ধৰ্ম্মতত্ত্ববিষয়ক সন্দেহ বা কোন চার, হিন্দুর ধৰ্ম্মতত্ত্ব অচ্ছেদ্য, অভেদ্য, নিত্য ও অব্যয়। বৌদ্ধগণের যুক্তিজালে--কৌশলজালে এমন কি প্রজ্জ্বলিত বিশাল অগ্নিকুণ্ডেও যাহা ভস্মীভূত হয় নাই, মেচ্ছ যবনকুলের শাণিত করবাল সংঘর্ষে যাহা খণ্ডিত হয় নাই, অসহিষ্ণু অসূয়া বশবৰ্ত্তীর দল বিবিধ উপায়ে যাঙ্গার অনুমাত্র অন্যথাভাব করিতে পারে নাই, কয়েকটা নগণ্য ব্যক্তির নগণ্য সন্দেহে তাহা বিকৃত বা বিপৰ্য্যস্ত হইবে, ইহা চিন্তা করা বিষম ভুল নহে কি ? আমাদের মতে ধৰ্ম্মতত্ত্বের সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইলে, সর্বাগ্ৰে সন্দেহ চাই, পূর্বপক্ষ চাই, তবেই ত অগ্নিপরীক্ষিত হইবে ও অভ্রান্ত সিদ্ধান্তের বিমল জ্যোতিঃ সন্দেহ-কালিমাবিহীন পরিস্কৃত অন্তঃকরণে পবিত্ৰ ধৰ্ম্মভাবের আনন্দময় স্ফারণ করাইবে। তখন ধৰ্ম্মপিপাসাসু মানব, হিন্দু ধৰ্ম্মের মৌলিকতা ও সনাতনতা অনুভব করিয়া উচ্চৈঃস্বরে গাহিবে “দগ্ধং দগ্ধহং ত্যজাতি ন পুনঃ কাঞ্চনং চারুরূপং দৃষ্টং দৃষ্টং ত্যজাতি ন পুনঃ চন্দনং চারু গন্ধং