পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》。b ] হায় ! স্বধৰ্ম্ম অমরস হাতছাড়া হইয়া পড়িয়াছে। না। মধুর পরধৰ্ম্ম রুচিতেছে, না। স্বধৰ্ম্ম অক্সরস আর হস্তগত হইতেছে । ত্ৰিশঙ্কুর অবস্থায় “কাশী বা মক্কা বা” করিতেছেন । এতাদৃশ যথেচ্ছাচার-সম্প্রদায়ের ঈদৃশ ব্যাপারে। আর কিছুই হউক বা না হউক, স্বধৰ্ম্মের মৌলিকতা ও সনাতনতা এবং ধৰ্ম্মান্তরের আগন্তুকতা ও আপাতমধুরতা প্ৰতিপন্ন হইতেছে। পলান্ন বা খেচরান্ন আপাততঃ উপাদেয় হইতে পারে, কিন্তু তাহা মৌলিক বা অবিমিশ্র হইতে পারেন । একমাত্র অবিমিশ্র বিশুদ্ধ অন্নহী পথ্য। প্ররোচনায় পড়িয়া জঙ্গলি ধাঙ্গড়াগুলা সপরিবারে কুলি হইয়া আসামে যায়। যাইবার সময় আহা ! তাহাঁদের কি উৎসাহ । পুত্র, পিতাকে না। বলিয়া, কন্য, স্নেহময়া জননীর স্নেহ ভুলিয়া--এমন কি স্নেহের পুতুল কোলের ছেলেকে পৰ্য্যন্ত ভুলিয়া গিয়া কত গোপনে কত সন্তৰ্পণে আত্মবিক্রয় করে । কিন্তু হায় ! গন্তব্যস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখে যে সর্বত্র সেই সুবিশাল কৰ্ম্মক্ষেত্র। বরং তাঙ্গাদের প্রিয়তম গন্তব্যস্থানটা স্বার্থের অচিন্তনীয় লীলাক্ষেত্র ও পিশাচের মৰ্ম্মস্পর্শী তাণ্ডবে ভাষণ হইতে ভাষণতর। যত উৎপীড়িত হইতে থাকে, ক্ৰমে স্বদেশ, স্বজন ও স্বজাতির কথা মনে করিয়া আকুল হইয়া পড়ে। কিন্তু তখন আর উপায় নাই-নিগতিক। অনুতাপের তীব্ৰ উষ্মা অন্তরকে জর্জর করিয়া থাকে। হা হতোহস্মি ? বলিয়া স্বদেশের দিকে তাকায়, কিন্তু হায়! সে যে অনেক দূরে চোখ পাইবার নহে। প্ররোচনার বশবৰ্ত্তী হইয়া। পরধৰ্ম্মগ্রাহী