পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >y 8 ] করিয়া দিয়াছেন। যাহার কাশী, কলিকাতা প্ৰভৃতি গঙ্গাতীরবত্তী প্ৰধান প্ৰধান নগরগুলিতে গিয়াছেন, তাহারাই সে ঘাটের বাহুল্য ও স্নানাখীগণের অহমহমিকা পূর্ণ স্নানেচ্ছা প্ৰত্যক্ষ করিয়াছেন । তত্তৎ নগরবাসী এমন পুণাত্মা বড়লোক নাই, যিনি সাধারণের তিতাৰ্থ একটা ঘাট প্ৰস্তুত করিয়া যান নাই। তাই মিত্রের ঘাট, বসুর ঘাট, রাজা বাবুর ঘাট, অমুক মারওয়াড়ীর ঘাট ইত্যাদি অসংখ্য ঘাটাই আছে । আমাদের ধৰ্ম্মতত্ত্ব ও সেই পতিতপাবনী গঙ্গারস্রোতঃ । ইহাতে ভাসিতে পারিলে ইহার প্রবাহ ও গঙ্গার ন্যায় সচিদানন্দ-সাগরে পহুছিয়া দিবে । গঙ্গার ঘাটের 可f瓦 ইস্থার ও অসংখ্য মত বা পথ, গঙ্গার ঘাট-আবিষ্কৰ্ত্তার ন্যায় ইহারও মত-আবিষ্কন্দ্ৰা অসংখ্য । গঙ্গাতীরবাসী এমন বড়লোক নাই, যিনি শক্তি অনুসারে আলাহিদা একটি ঘাট করিয়া দেন। নাই । ধৰ্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধেও তদ্রুপ “নাসেী মুনির্মািন্ত মতঃ ন ভিন্নং।” তিনি মুনিই নন যিনি ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে একটা মত করিরা যান নাই । ঘাট আবিষ্কৰ্ত্তাদের মধ্যে যেমন পরস্পর জিগীষ, বা অসূয়ার কারণ নাই, জীবের উপকার একমাত্ৰ লক্ষ্য, তদ্ররূপ ধৰ্ম্মসম্বন্ধে ও ভিন্ন ভিন্ন মতের আবিষ্কৰ্ত্তাগণের পরস্পরে বিরোধ নাই । জগতের হিতৈষণাই একমাত্ৰ লক্ষ্য । ঘাটের বাহুল্য দেখিয়া যদি কেহ এটায় যাইব না, সেটায় যাইব, কোন ঘাটটা ভাল ? ওটা পিচ্ছিল নাকি, ইত্যাদি বিবিধ সন্দেহ ও তর্ক করিয়া অনর্থক কালক্ষেপ করেন, তঁহার পক্ষে নিরপেক্ষ ব্যক্তির এই উক্তি বােধ হয় শ্ৰেয়স্কর হইতে পারে যে, মহাশয়ের বৃথা কেন