পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २२० } সামবেদ সংহিতা জৈমিনিকে কহিলেন এবং আঙ্গীরসী নামধেয় অপৰ্ব্ব সংহিতা সুমন্তকে অধ্যয়ন করাঈলেন । স্থূলতঃ এই সংহিতা যুগ পৰ্যন্ত শ্রেীত বা বৈদিক ধৰ্ম্মের বহুলপ্রচার অণুমিত হয়। ক্ৰমে মানবগণকে ক্ষীণায়ু দুৰ্বদ্ধি ও হীনবল দেখিয়া করুণানিলয় বাস বাদরায়ণ বেদগত জটিলত্ব অপনোদনার্থ বেদকে চারিভাগে বিভক্ত করিলেও সেই প্ৰতোক ভাগ বৈদিক কৰ্ম্ম, উপাসনা ও জ্ঞান এই তিন তিন কাণ্ডে বিভক্ত। মহামুনি জৈমিনী কস্মিগণের জন্য কৰ্ম্মকাণ্ডাত্মক বেদ ভাগ ও জৈমিনির গুরু বেদবিভাগকৰ্ত্তা বাদ রায়ণ ব্যাস জ্ঞানিগণের জন্য উৎকৃষ্ট মীমাংসা প্ৰণয়ন করিয়া জগতের অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়া গিয়াছেন । জৈমিনি কুত কৰ্ম্ম রহস্য পূৰ্বৰ মীমাংসা ও ব্যাসকৃত তত্ত্বজ্ঞােনরহস্য উত্তরমীমাংসা বা বেদান্ত নামে অভিহিত । আমাদের আলোচ্য-ধৰ্ম্মতত্ত্বের সহিত ব্যাস কৃত মীমাংসার পরম্পরিক সম্বন্ধ থাকিলেও জৈমিনি মুনিকৃত পূর্বমীমাংসার সহিত ইহার সাক্ষাৎ সম্বন্ধ। জৈমিনি দর্শনের প্রথম সূত্রই হইতেছে-“আথাতে ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা ।” জৈমিনি অভিপ্ৰায় যে-—“নহিকশ্চিৎ ক্ষণমপি জাতু তিষ্ঠত কৰ্ম্মকুণ্ড ।” অকৰ্ম্ম হইয়। যখন কেহ ক্ষণমাত্র তিষ্ঠিতে পারে না, তখন জীবনিবাহের জন্য কৰ্ম্মমাগ প্রশস্ত করিয়া দেওয়া উচিৎ। তাহা হইলে কৰ্ম্ম জীবনিচয় ধৰ্ম্মসাধক নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্মে লিপ্ত থাকিয়া বিমলচিত্ত হইবে ও সদগতি লাভ