পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন পত্নী অন্তঃসত্ত্ব আছে কিনা ? আর ইহাও সাধারণে ডিণ্ডিম (ঢোঁড়া) সহকারে বিঘোষিত করা হউক যে,--- “যেন যেন বিযুজ্যন্তে প্ৰজাঃ সুিগ্ধোন বন্ধুন। স স পাপাদূতে তাসাং দুষ্মন্ত ইতি ঘোষাতাং প্ৰজাগণ যে যে স্নিগ্ধ বন্ধুগণ কত্ত্বক বিযুক্ত হইবে, পাপদৃতে (পতি পত্নীভােব ব্যতীত) সেই সেই বন্ধুর স্থান রাজা দুষ্মন্ত কর্তৃক পূর্ণ হইবে। যিনি অপুত্রকের পুত্ৰ, যিনি পিতৃহীনের পিতা, তিনি যে একজন ঈশ্বরানুমোদিত ঐশী শক্তি-সমন্বিত, বহুমানাস্পদ অলৌকিক ব্যক্তি, ইহা না বলিয়া থাকা যায় কি ? সুতরাং প্রকৃত হিন্দু, কোনমতে কোনদিকে রাজার প্রতি অসম্মান প্ৰদৰ্শন করিতে পারেন । শ্রুতি, উপনিষৎ, স্মৃতি, পুরাণ, সাহিত্য, ইতিহাস্যাদির কথা ছাড়িয়া তর্কবাগীশ দার্শনিকগণের সঙ্গে আলাপ করিলে, তাহারা যে সমস্ত আধ্যাত্মিক তত্ত্ব ও ব্যবহারিক তত্ত্ব উপন্যস্ত করেন, তাহাও ভাবিবার বিষয়। লাঘব-গৌরব বিচারে অনন্য পারদর্শী তর্কসর্ববস্ব তার্কিক বলেন, অনন্তশক্তি-কল্পনা অপেক্ষা কেন্দ্রীভূত একটী সমষ্টি-শক্তি-কল্পনার যথেষ্ট লাঘব অর্থাৎ সুবিধা আছে, সুবিধাপূর্ণ নিরাপদ পথ থাকিতে প্ৰকৃতিস্থ কোন ব্যক্তি যে, বিপৎ-সন্ধুল বিস্তীর্ণ কোন পথের পথিক হন না, ইহা বোধ হয় চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেই অবিসংবাদী সত্য বলিয়া