পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y88 সংকীর্ণবুদ্ধি অধিকারী বিশাল সনাতন ধৰ্ম্মের বিরাট স্বরূপ ধারণা করিতে সমর্থ হইবে না। ব্যষ্টি হইতে সমষ্টিতে যাওয়াই প্ৰাকৃতিক নিয়ম। অতএব ধৰ্ম্মের ব্যষ্টি স্বরূপ আলোচনার পূর্বে আমাদের জানিয়া রাখা উচিত যে, এই ব্যষ্টি স্বরূপ আলোচনার প্রসঙ্গে আমাদের সনাতন ধৰ্ম্মের সমষ্টি স্বরূপ একমাত্ৰ লক্ষ্য থাকিলেও আমরা আপাততঃ ধম্মের ভিন্ন ভিন্ন স্বরূপ দেখাইতে বাধ্য হইব । ধৰ্ম্ম আপাততঃ বাহ্যিক ও আন্তর দুইভাগে বিভক্ত হইতে পারে। দেবোদেশে তুলসী চয়ন, তীৰ্থপৰ্যটন, গঙ্গাস্নান ইত্যাদি ইত্যাদি বহেন্দ্ৰিয় নিৰ্বাহা ক্রিয়াকলাপ বাহ্যিক ধৰ্ম্ম। বৈরাগ্য, ক্ষান্তি, ঔদাৰ্য্য ইত্যাদি অন্তরেন্দ্ৰিয় মনের অন্তমুখীন বৃত্তিগুলি আন্তর ধৰ্ম্ম । আন্তরধৰ্ম্ম জ্যেষ্ঠ ও বাহ্যিকধৰ্ম্ম কনিষ্ঠ । লক্ষণের মত এ ক্ষেত্রে কনিষ্ঠই জ্যেষ্ঠের প্রধান সহায়। আজকাল অনেকেই বাহ্যিক ধম্মের প্রতি বিবিধ প্ৰকার উপহাস করিয়া থাকেন। দুঃখের বিষয় তাহারা প্ৰণিধান পূর্বক চিন্তা করেন না যে, তঁহাদের অভীপিসত আন্তর ধৰ্ম্মট বাহা ধন্মের সহিত দুগ্ধে ঘুতের ন্যায়। তপ্ত-অয়ঃপিণ্ডে অগ্নির ন্যায় অভেদ সম্বন্ধে সম্বন্ধ। র্যাহাঁদের অনুভব আছে, অবশ্য তঁহারা জানেন যে, কাষীয় বাস পরিধান করিয়া ত্ৰিপুণ্ড, কাটিয়া কমণ্ডলু হস্তে বহির্গত হইলে স্বভাবতই মনে আসে যে—“বম বাম হর হরশিব। শঙ্কর” বলি;-কিন্তু তেড়ি কাটিয়া ছড়ি ধরিয়া জামাজোড়া পরিয়া বাহিন্ধু হইলে, তখন নিধুবাবুর টপ্পা ও গোপাল উড়ের কবির