পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ bY ] সাদরে অঙ্গীকার করিবেন, তাই দার্শনিকপ্ৰবর নৈয়ায়িক স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন,- “নানাব্যক্তিযু নানাশক্তিকল্পনায়াং গৌরবম।” অর্থাৎ নানা ব্যক্তিতে নানা শক্তি কল্পনায় গৌরব বা অসুবিধা মাত্র ; অবশ্য ইহা অভিধাশক্তির অভিব্যক্তি-কালে বলা । হইয়াছে। পরস্তু রাজশক্তি-সম্বন্ধেও এই যুক্তি। ঈশ্বরের ইচ্ছা এইরূপ একটী কেন্দ্রীভূত ঐশী শক্তি যথােপাত্রে অর্পিত হইয়া যথারীতি ধৰ্ম্মনীতিপূর্ণ দণ্ডের সহিত সদ্ব্যবহৃত হউক, এবং সেই শক্তি-সম্পন্ন ক্ষণজন্ম মহাযোগী পুরুষ সম্রাটু নামে অভিহিত হউন। তাহা না হইলে বিশাল জগৎ বিশৃঙ্খল হইয়। উৎসাদোন্মুখ হইবে, স্বয়ং মনুই স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন ‘অরাজকে হি লোকেই স্মিন সর্বতে বিদ্রুতে ভয়াৎ। রক্ষার্থমন্স্য সর্বস্য রাজানমস্যজৎ বিভুঃ ॥ জগৎ অরাজক হইলে সকলেই ভয়ে কাতর হইয়া পড়িবে, অতএব সমুদয় চরাচর রক্ষার জন্য পরমেশ্বর রাজাকে সৃষ্টি করিয়াছেন । শান্ত্রের কথা ছাড়িয়া ও বিশাল জগতের কথা ছাড়িয়া দিয়া ব্যবহার-দৃষ্টিতে এক একটি বৃহৎ পরিবারের প্রতি লক্ষ্য করুন, অনায়াসে দেখিতে পাইবেন যে, যে পরিবারে সকলেই মালিক, সকলেই স্ব স্ব স্বতন্ত্র শক্তি পরিচালনে বদ্ধপরিকর, তেমন কত শত পরিবার যে, যথেচ্ছাচারে বিশৃঙ্খল হইয়া অচিরে উৎসাদে গিয়াছে তাহার ইয়াত্তা করা যায় না। আর দেখিতে পাইবেন,