পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ rانګه ] দৌর্বল্য নিবন্ধন ইচ্ছা স্বত্বেও গবেষণা না করিয়া, আজ পৰ্য্যন্ত আমরা স্বৰ্গীয় মহাত্মাগণের পদাঙ্কানুসরণ করিয়া আসিতেছি ; মনে কোন দ্বৈধভােব জাগে নাই। গত কাৰ্ত্তিক মাসে, জানিনা কি উদ্দেশ্যে, একজন শিক্ষিত হিন্দু হঠাৎ প্রশ্ন করিয়া বসিলেন—“কাৰ্ত্তিকে মৎস্য ভক্ষণ নিষিদ্ধ কেন ?”---তিনি নিত্য মৎস্তাশী হইতে পারেন বা নিরামিষ ভোজন তাহার পক্ষে কষ্টকর হইতে পারে, তাহা হইলেও তঁহার এ প্রশ্ন উপহাসের যোগ্য নহে। চক্ষু মুদ্রিত করিয়া পিতৃপিতামহাচারিত প্ৰথা সমর্থন করা অপেক্ষা গবেষণার সাহায্যে এই প্রশ্নের উত্তর করিতে প্ৰস্তুত হইলে, আশা করা যায় যে, প্রশ্নটি অনেক আবশ্যক বিষয়ের শিক্ষা দিতে সমর্থ হইবে। অন্যের কথা বলিতে পারিনা, প্রশ্নটি অন্ততঃ আমার পক্ষে বড়ই স্পহণীয় হইয়াছে। প্রশ্নটা চিরপোষিত বংশপরম্পরায় প্রতিপালিত, সেই অন্ধবিশ্বাস বা গবেষণা-ভাবরূপ পৰ্যােঙ্কশায়িত ঘোর সুষুপ্তিগ্রস্তু চিত্তকে আজ উদ্ধৃদ্ধ করিয়া তুলিয়াছে। কিন্তু সেই মূল নিহিত অমূল্য কারণানুসন্ধানে ব্যগ্ৰ । এরূপ স্থলে কি করিয়া বলিব যে প্রশ্নটা উপেক্ষার বিষয় ? উড়াইয়া দিবার যোগ্য ? প্রশ্নটা প্রথম শ্রবণকালে মনে একটুকু বিরক্তি আসিয়াছিল, কিন্তু পরীক্ষণে মনােমধ্যে এক তুমুল আন্দোলন আসিয়া উপস্থিত হইল এবং প্রশ্নের প্রতি প্ৰগাঢ় অনুরক্তি জন্মাইল। মনে হইল, ঈশ্বরের অংশাবতার পুরাণপ্ৰবৰ্ত্তক ব্যাসদেবের উক্তি