পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 প্ৰশ্নকৰ্ত্ত হিন্দুগণের আচার ব্যবহারে সম্প্রতি সন্দিগ্ধ। অধিকন্তু পিতৃ-পিতামহ প্ৰভৃতির পদাঙ্কানুসরণ করিতে পশ্চাৎপদ।। সুতরাং তাহার নিকট অপ্রত্যক্ষ ব্যাস-বশিষ্ঠাদির নিগুঢ়-তত্ত্ব-সমবেত বিধিনিষেধ-পূর্ণ স্মৃতি বাক্য উদাহৃত করিলে, অন্ধবিশ্বাস সপ্রমাণ করিবার অবসর দেওয়া হইবে ও বেদবাক্য অবজ্ঞাত হইবে । স্মৃতি ও পুরাণোক্ত ব্যবস্থাবলী জন্মান্তর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। প্ৰশ্নকৰ্ত্ত জন্মান্তর স্বীকার করেনকি না, তাহা আমার আগোচর। পরন্তু প্ৰত্যক্ষবাদপ্ৰিয় প্রশ্নকৰ্ত্তার নিকটে ব্যাস-বশিষ্ঠাদির উচ্চা अन् अis} कi 3 ठन्ड ! আমি বলিল স্কন্দপুরাণ বলিয়াছেন, “মাস মধ্যে কাৰ্ত্তিক মাস পুণাময় : তাহাতে ব্ৰত করিলে নন্দনন্দন কৃষ্ণচন্দ্ৰ প্ৰীত হইয়া বিষ্ণুলোকে স্থান দান করেন।” হয়ত প্ৰশ্নকৰ্ত্তা ইহা শুনিয়া পুনর্বার প্রশ্ন করিয়া বসিবেন যে, “নন্দটা কে ? তাহার নন্দন কৃষ্ণচন্দ্ৰই বা কোথায় ? তাহার পেশা কি ? স্বগ কোথায় ? স্বৰ্গ কি নন্দনন্দন কৃষ্ণচন্দ্রের জমিদারী যে, সে সেখানে জমি বাড়ী দিয়া রাখিবে ?’ ইত্যাদি অনগাল প্রশ্ন চলিবে। এতাবৎ মূল প্রশ্ন ( অর্থাৎ ) “কাৰ্ত্তিকে মৎস্য ভক্ষণ নিষিদ্ধ কেন ?” ইহার উত্তর হয় নাই ; তাহার উপর এতাদৃশ প্রশ্নপরম্পরা আসিয়া পড়িলে, আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বুদ্ধিবৃত্তিটা আচ্ছন্ন’ হইয়া পড়িবে, উত্তর দিব কি করিয়া ? বিশেষতঃ আমাদের সে শিক্ষা নাই, সে সিদ্ধি নাই, সে সাধনা নাই, সে ভক্তি ও নাই, সে. শ্ৰদ্ধা নাই, এক কথায়- সে ভাগ্য