পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8७ } পথে ধাবিত হইতেছে, তাহার যেমন আত্মপ্ৰসাদ বা সুখ স্পািহণীয় বস্তু, ধৰ্ম্মী যে যম-নিয়ম-ধ্যান ও ধারণাদির দ্বারা দৃঢ় সংযত হইয়া ঐহিক সুখে জলাঞ্জন্ত্ৰি দিয়াছে, তাহারও সেই বিলক্ষণ । আত্মপ্রসাদ বা সুখ সম্পূহণীয় সামগ্ৰী। অর্থার নিকটেও সেই এবং পরমার্থীর নিকটেও তাই। এক কথায় আস্তিক নাস্তিক ও মধ্যবৰ্ত্তী (অর্থাৎ আস্তিকও নয় নাস্তিক ও নয় কিস্তৃতকিমাকার যথেচ্ছাচারী একটী নব্য সম্প্রদায়, যাঁহারা দলে দলে সর্বত্র দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকেন) সকলেরই সুখ সম্বন্ধে সেই এক কথা । রুচি অনুসারে সুখের তারতম্য থাকিলেও অথবা এক শ্রেণীর প্ৰাৰ্থনীয় সুখবিষয়ে অপর শ্রেণীর আপত্তি থাকিলেও, সামান্যতঃ সুখ নামে একটী সৰ্বজন-আদরণীয় বস্তু যে বৰ্ত্তমান, ইহা কাহারও অস্বীকাৰ্য্য হইবে না। আমরা সেই সুখকে ঐহিক এবং পারিত্রিক এই দুইভাগে বিভক্ত করি। আপাততঃ ঐহিক সুখকে পুনরায় শারীরিক ও মানসিক এই দুইভাগে বিভক্ত করিয়া পাকি। শরীর স্বচ্ছন্দভাবে আহার বিহার ও নিদ্রাদিতে সমর্থ হইয়া কৰ্ম্মক্ষম থাকিলে, তাহাকে শারীরিক সুখ বলিয়া জ্ঞাপন করি। অপুত্রকের পুত্ৰপ্ৰাপ্তি এবং নির্ধনের ধনপ্রাপ্তি ইত্যাদিতে যে আত্মপ্ৰসাদ জন্মে, তাহাকে মানসিক সুখ বলিয়া প্ৰকাশ করিয়া থাকি। সুখকে দুইভাগে বিভক্ত করিলেও মনই সুখের জন্মভূমি ও শরীর তাহার রঙ্গভূমি। শরীরের সহিত মনের এত বড় ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ যে, শারীরিক সুখ ব্যতিরেকে মানসিক সুখ প্ৰকাশ পাইতে পারেনা, এবং মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য না