পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 98 | বিশদরূপে বলিবার বাসন রহিল। ৫ম খগ, বঙ্গদেশে শস্যাদিতে খগের উপদ্রব খুব কম হইলেও উৎকলে তাহা মুক্তিমান। চক্ৰবাক ও তজজাতীয় এক রকম পক্ষী প্ৰতিবৎসরেই হেমন্তের প্রাদুর্ভাবে গভীর ধান্য ক্ষেত্র সমুদ্ৰায়ে পড়ে। তাহদের প্রত্যেকটী প্ৰায় প্ৰত্যহ ৩৪ সের সুপক্ক শালিধান্য উদারস্থ করিয়া কৃষি জীবীর সর্বনাশ করে। ৬ষ্ঠ, ঈতির কথা অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই। যে দিন হইতে প্ৰতিযোগী রুস। ভারতের সীমান্তে পদার্পণ করিয়াছেন, তদিনাবধি ভারত যে কিরূপ আছে তাহা শিক্ষিত মাত্ৰেই সুবিদিত। ষড়বিধ ঈতি মধ্যে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শলভ, মুষিক, খৰ্গ ও প্রত্যাসন্ন প্ৰতিদ্বন্দ্বী রাজা একত্র সমাবিষ্ট হইয়া ভারতকে যে কিরূপ দুৰ্দশাগ্ৰস্ত করিয়াছে তাহ প্ৰতিপন্ন হইল। সম্প্রতি শলাভের বৃত্তান্তে প্ৰবন্ধের উপসংহার করিব । অধুনা ইহা মেদিনীপুর, চাইবাসা, খুরদা ও গঙ্গাম প্রভৃতি কয়েকটি জেলাকে অনিবাৰ্য্য অত্যাচারে উৎসন্ন করিতে বসিয়াছে। ইহাই এখন সবকয়েকটী ঈতি অপেক্ষা গরীয়সী । বিগত ১২৯৫ সালে একবার শলাভ দেখা গিয়াছিল ; তাহারা প্ৰায় বেলা ৫টার সময় নৈঋত কোণে আবিভূতি হইয়া ( শোনা যায় ) দিন রূপনারায়ণের জলে অধিকাংশ প্ৰাণ বিসৰ্জন দেয়। তাহারা যে ক্ষেত্রে ও যে বৃক্ষে বসিয়া গিয়াছিল। সেই ক্ষেত্র ও বৃক্ষের প্রচুর ক্ষত্বি হইলেও কিছু দিন পরে তাহা পুনরায় যথাবস্থা হইয়াছিল, কিন্তু উপস্থিত শল্যভ তাহা হইতে সম্পূর্ণ