পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( и о) শোক নাই, মোহ নাই, ভয় নাই, দ্বেষ নাই, হিংসা নাই--- এক কথায় কোনও দুঃখ নাই বা দুঃখের কারণই নাই। তাহা হইলেত কোন এক অনির্বচনীয় সুখই আসিয়া পড়িতেছে এবং দার্শনিকগণের উদ্দেশ্য ও যে সেই সুখের ভিত্তিতে প্ৰতিষ্ঠিত, ইহা না বলিয়া পারা যায় না । ঘোর সংসারী ও উচ্চ দার্শনিকগণ সুখের সম্বন্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্ৰদান করিতেছেন। আস্তিককে পরিত্যাগ করিয়া নাস্তিকের নিকট যান, তাহারাত বক্ষঃ স্ফীত, করিয়া বাহুস্ফোট দিয়া বলিবেন “যাবৎ জীবেণ্ড সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ধৃতং; পিবেণ্ড । ভস্মীভুতস্য দেহস্য পুনরাগমনং, কুতঃ ৷” যাবজ্জীবন সুখে থােক। ঋণ করিয়া ও ধৃত খাও । দেহ একবার ভস্মীভূত হইলে আর ফিরিবার নহে। যাহারা পরজন্ম মানেন, তাহারা না হয় সংসারের অনন্তকালের জন্য অনন্ত সুখের প্ৰয়াসী হইলেন, প্ৰত্যক্ষবাদী পরকালদ্ধের্ষী চাৰ্ব্বাকও "ত সুখের প্রতিকূলে দণ্ডায়মান নহে। কি সংসারী, কি বিরাগী, কি আস্তিক কি নাস্তিক সকলেই সমস্বরে সুখের সাক্ষা প্ৰদান করিতেছেন, সুতরাং সেই সুখের অবসর ও অধিকারী নিৰ্ণয় করা অসঙ্গত বলিয়া বিবেচিত হয়না । আজকার প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় তাহাই । অন্যান্য প্ৰাণীর সুখ সমালোচনা একেবারে অভ্ৰান্ত হইবে কি না জানিনা, অতএব মানব-জীবনের কয়েকটা অবস্থা লইয়া আমরা সুখবিষয়ক সমালোচনা করিব । অসংখ্য প্রকারের