পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐठeन হয় নি; তাই প্ৰতিষ্ঠাতার নাম কোনটাতেই দেওয়া হয় নি। বেশ হয়েছে । তারপর ভোজের কথা । সে একটা দেখবার মত ব্যাপার! বড়-বৌমা বলে’ দিয়েছিলেন, বড়-লোক ছোট-লোকের ভেদ থাকবে না। মেদিনীপুরোয় নিমন্ত্ৰিত সন্ত্রান্ত লোককেও যা খেতে দেওয়া হবে, গরীব কাঙ্গালকেও তাই দিতে হবে, তেমনি করে দিতেই হবে। হয়েছিলও। তাই- লুচি, তরকারী, দৈ, সন্দেশ দিয়ে প্ৰায় তিন হাজার লোককে পরিতোষপূর্বক খাওয়াতে হয়েছিল। সকলেই একবাক্যে বলল, এমন ব্যাপার এ অঞ্চলে আর কখন হয়নি । রাত্ৰি প্ৰায় এগারটার সময় দীনেশ এসে যখন বড়-বোমাকে প্ৰণাম করতে গেল, তখন তিনি বললেন, ঠাকুর-পো, প্ৰণাম আমার প্ৰাপ্য নয় ; এই বাবা মা বসে” আছেন, আগে ওঁদের প্রণাম করা, তার পর রমেশের মা, দিদিকে প্ৰণাম কর, তারপর দুই দাদাকে আর শ্ৰীপতিবাবুকে, তা’ হলেই আমার সব পাওয়া হ’ল। সার্থক হয়েছে তোমার শ্রম । ধন্য হয়েছেন-তোমার মাতা পিতা । আর ধন্য হয়েছি। আমরা, তোমার মত দেবীর পেয়ে । তারপর আর কি ? রমেশের মা, দিদির অনুরোধে আরও তিন দিন আমালাবেড়েতেই কাটিয়ে, একরাত্রি মেদিনীপুরে হরেন্দ্ৰবাবুর বাড়ীতে আতিথ্য গ্ৰহণ করে” কলকাতায় ফিরে এলাম। এই খানেই আমার কথা শেষ করলে হ’ত ; কিন্তু আর দুটি কথার উল্লেখ করতে হবে। রমেশকে বাড়ীতে থেকে চাষ করতে দেওয়া হয় নাই ; পরেশের স্কলারশিপের সব টাকা দিয়ে কলকাতায় একটা প্রেস করে দেওয়া হয়েছে ; রমেশই তার স্বত্বাধিকারী। NOV