পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস আসছি। সেই ন’টার আগে যা”-তা’ দিয়ে দুটো ভাত খেয়ে গিয়েছ, আর ফিরবে। রাত সাড়ে ন’টায়, ক্ষিদেয় যে মারা যাবে রমেশ । রমেশ তখন দুয়ারের কাছে গিয়েছে ; ফিরে দাড়িয়ে বলল, এতদিন কোথায় ছিলেন আমার দয়াময়ী মা ! না, না, আপনার জালায় আমাকে দেখছি কোলকাতা ছেড়ে পালাতে হবে। খাবার এখন নয় মা, ব’লে এসেছি। পনের মিনিট হবে। তার বেশী দেরী হ’লে তারা কি মনে করবেন ; আমারও যে লজ্জা বোধ হবে। এই বলেই রমেশ তাড়াতাড়ি চলে’ গেল। গৃহিণী বারবার ডাকতে লাগলেন, সে ফিরেও চাইল না । আমি তখন গৃহিণীকে বললাম, দেখুলে কেমন ছেলে! এমন কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা আমি ত কখন দেখি নি। দু’মিনিট বিলম্বী কবুলে যে তার কথার অন্যথা হবে, এ লজ্জা ওই ছেলে সইতে রাজী নয়। এমন কৰ্ত্তব্যপরায়ণতা দুর্লভ। ছেলেটী সত্য-সত্যই রত্ন। ভগবান ওর মঙ্গল করবেন। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জল, এ কথা আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বললে পারি। গৃহিণী বললেন, আমি ওকে প্রথম দিন দেখেই চিনতে পেরেছিলাম। এমন ছেলে হয় না । আহা, সেই রাত সাড়ে ন’টায় আসবে, ক্ষিদেয় বড়ই কষ্ট পাবে। আমি বললাম, কেষ্টাকে দিয়ে প্রেসে কিছু খাবার পাঠিয়ে দিলে श् ना ? গৃহিণী বললেন, তা’ হ’লে আর রক্ষা থাকবে না, বাড়ী এসে তুমুল কাণ্ড করবে। আমি বললাম, সে কথা ঠিক। SR8