পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস আমি বললাম, তা’ বেশ যাব ; বিয়েতে খুব খাটিব, পেট ভ’রে লুচিমণ্ড খাব, আসবার সময় তোমাদের জন্য ছাদা বেঁধে আনিব। কিন্তু আর একটা কি কাজ করতে হবে তা’ ত বুঝতে পারছি নে। মা বললেন, তোমাকে ওই পথে একবার রমেশদের গ্রামে যেতে হবে, আর সে কথা আগে তাকে কিছুতেই জানতে দেবে না। আমি বললাম, সে কি ক’রে হবে ? সেখানে যাবার ব্যবস্থা তার সাহায্য না নিয়ে কি ক’রে করব। তারপর, সে যদি যেতে না চায়, তা’ হলে কি হবে ? আমি ত তাদের গ্রাম কোথায় তা জানিনে। মা বললেন, শ্ৰীপতিকে বললেই সে সব ঠিক করে দেবে। সে ত আর বেশী কথা নয়। রমেশদের গ্ৰাম আমলাবেড়ে ; মেদিনীপুর থেকে ছ’ ক্ৰোশ । ভাল রাস্তা নেই, যা’ আছে, তাতে গরুর গাড়ীতে যাওয়া যায় ; ঘোড়াগাড়ী সে পথে চলে না । তোমরা ত শুক্রবার রাত্রে মেদিনীপুর যাবে। শনিবার বিয়ে। তুমি শনিবার প্রাতঃকালেই শ্ৰীপতিকে সঙ্গে নিয়ে একখানা গরুর গাড়ী ঠিক কোরো । সে যেন রবিবার খুব ভোরে, চাই কি একটু রাত থাকতেই হরেনবাবুর বাড়ী থেকে তোমাদের নিয়ে আমলাবেড়ে যাত্ৰা করে । ছ’ ক্রোশ রাস্তা ঠিক বেলা নটা-দশটার মধ্যে পৌছে দেবে। আবার বিকেলবেলা রওনা হয়ে রাত আটটা-ন’টার মধ্যেই মেদিনীপুর আসতে পারবে। যেতে-আসতে কষ্ট হবে ; বারো ক্রোশ পথ গরুর গাড়ীতে যাওয়াআসা। পান্ধীতেও এ যাওয়া যায় ; কিন্তু, রমেশ তাতে আপত্তি করবে ; সে যে ছেলে, পান্ধী চড়তেই চাইবে না। কাজেই গরুর গাড়ী ছাড়া অন্য উপায় নেই। আমি বললাম, অত হাঙ্গামা কেন ? হেটে গেলেই চলবে। ছ’ 89