পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐgeन আমি বললাম। হ্যা, তাই-ই। এখন বক্ততা বন্ধ রেখে সুশীল ও সুবোধ বালকের মত গাড়ীতে ওঠে । রমেশ আর বাক্যব্যয় না ক’রে গাড়ীতে উঠল। তারপর পথের মধ্যে বলল, ছোড় দা’, কাল বিয়ে শেষ হয়ে গেলে রাত্রি একটার গাড়ীতেই কিন্তু আমরা ফিরে আসব, কেমন ? আমি বললাম, এখনও হাবড়ার ব্রিজ পার হই নি, এখনই আসবার কথা। চল ত যাই, তারপর দেখা যাবে কখন কি করি । রমেশ আর এ কথার উত্তর দিল না । গাড়ী হাওড়া ষ্টেশনে পৌঁছিলে রমেশ বলল, দেখুন। ছোড়-দা', এইটুকু পথ-এর জন্য পয়সা ক’রে গাড়ীভাড়া না করলেই হ’ত। ঘরের গাড়ীখানা যদি মেরামত হ’তে না যেত তা’ হ’লে কথা ছিল না, অকারণ পয়সা খরচ আমি সহ্য করতে পারি নে। এ পাগলের কথায় আর কি জৰাব দেব । কুলী ডেকে ট্রাঙ্ক বিছানা তার মাথায় দিয়ে প্ল্যাটফরমের দিকে যেতেই রমেশ চেচিয়ে উঠল, ও ছোড়-দা’, গাড়ীতে উঠতে যাচ্ছেন যে, টিকিট কাটুলেন না। টিকিট না দেখালে গাড়ীতে উঠতে দেবে না, তা” বুঝি জানেন না ? আমি বললাম, ভাল বিপদে পড়লাম তোমাকে নিয়ে রমেশচন্দ্ৰ ! তুমি কোন চিন্তা কোরো না, টিকিট ঠিক আছে, আগেই সে কাজ শেষ ক’রে রেখেছিলাম। আমি দু’খানি সেকেণ্ড ক্লাসের উইক-এণ্ড রিটার্ণ টিকিট কিনে ছিলাম। কুলীরা যখন গাড়ীর দুয়ার খুলে মালপত্র তুলতে যাবে, তখন «R