পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস শ্ৰীপতিবাবু বললেন, তোমার বাবা-মা যখন আদেশ করেছেন, তখন আমি বাধা দেব না, বাবাকেও জানাব না। তিনি এ কথা শুনলে কিছুতেই যেতে দেবেন না। গাড়ীর জন্য ভাবতে হবে না, আমি এখনই ঠিক করে দিচ্ছি। এই মাসখানেক আগে আমাকে একটা কাজের জন্য পলাশপুরে যেতে হয়েছিল। সেখানে যেতে গেলে আমলাবেড়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। আমাদের হরিশ গাড়োয়ান আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। সে এখন আমাদের বাড়ীতেই কাজ করছে। তাকে আমি ডেকে এনে বলে দিচ্ছি। তুমি যখন বলবে, তখনই সে তোমাদের নিয়ে যাবে। এই বলে”। তিনি যেতে উদ্যত হ’লে আমি বললাম-দেখুন, রমেশ যেন কোনরকমে এ কথা আগে থাকতে জানতে না পারে। শ্ৰীপতিবাবু বললেন, সে আমি বুঝেছি। রমেশ অতি গরীব, চাৰী গৃহস্থ। তার বাড়ীতে তোমার মত লোককে নিয়ে যেতে সে কিছুতেই স্বীকার হবে না, তা” আমি জানি। তাকে জোর ক’রেই নিয়ে যেতে হবে। এই ব’লে তিনি চলে’ গেলেন। একটু পরেই হরিশকে নিয়ে তিনি এলেন। হরিশ বললএখানকার কাজ মিটে গেলেই সে গাড়ী আনবে। রাত একটা দুটোর সময় বেরুলে ভোর হ’তে না-হতেই সে আমাদের আমলাবেড়ে পৌছে দেবে। সোজা রাস্তায় গেলে ছয় ক্রোশই বটে, এখন মাঠে চাষ হচ্চে না, মাঠ দিয়ে গেলে প্ৰায় একক্রোশের বেশী পথ কম হবে। হরিশকে কিছু অগ্রিম দিতে চাইলাম। শ্ৰীপতিবাবু বললেনতার দরকার নেই, সে পরে হবে। এদিক ত ঠিক হয়ে গেল ; এখন রমেশ কি করে। আমি ঠিক (፩ዓ